ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেতৃত্ব দিক তারুণ্য

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

নেতৃত্ব দিক তারুণ্য

মানুষকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে বসবাস করার জন্য দলবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। সে দলবদ্ধতায় প্রত্যেকের নিজেস্ব অবস্থান থেকে প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় আলোকিত একটি সমাজ। সমাজে ধনী-গরিব, সাদা-কালো, হিন্দু-মুসলমান, প্রবীণ-নবীনদের পাশাপাশি আরও অনেকেই বসবাস করেন। সুশৃঙ্খল ভাবে বসবাসের জন্য অবশ্যই প্রত্যেকের নিজস্ব অবস্থান থেকে প্রত্যেককে সাহায্য-সহযোগিতা করা প্রয়োজন। সহযোগিতা ছাড়া কোন শ্রেণীই একক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠুভাবে গঠিত হতে পারে না। পূর্বে সম্মিলিত প্রচেষ্টার অনেক চিত্র ফুটে উঠলেও বর্তমানে তার চিত্র অনেকটা বিপরীত ধরনের। এই বিপরীত চিত্রের পিছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে পরশ্রীকাতরকা, শিক্ষা, শিষ্টাচার, ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধের মতো শব্দগুলো। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী নিয়ে মানুষ যোগদান করছে নামকরা কোন প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারা শিক্ষিত হয়ে বড় বড় ডিগ্রী নিলেও সিংহভাগ ব্যক্তির বিবেক অশিক্ষার অন্ধকার আলোয় নষ্ট করছে চলমান সমাজ। তারা এমন শিক্ষাই অর্জন করছে যেখানে বৃদ্ধ বাবা-মা কে যেতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমে। অসহায়ের মতো কাটাতে হচ্ছে তাদের অনিচ্ছাকৃত দৈনন্দিন জীবন। অন্যদিকে পরিবার ছাড়াও আমাদের সমাজে এমন চিত্র প্রতিনিয়তই দেখা যায়। প্রবীণ ব্যক্তিদের সম্মান করার একটি প্রথা পূর্বে চালু থাকলেও বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। বর্তমানে শিক্ষক ছাত্র বন্ধু সম্পর্কের দোহাই দিয়ে বেয়াদবির চরম পর্যায়ে অবস্থান করছে। তাদের সামনে নানান ধরনের আপত্তিকর গল্প করার পাশাপাশি অনেকে টানছে সিগারেট। শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার মতো সংবাদও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শুধু শিক্ষক নয় সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নবীনদের আচরণে তাদের মূল্যহীনতার চিত্রই দেখা যায়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে রাখা হয়। সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য প্রবীণদের সচেতন হতে হবে। অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছে যারা তাদের অহংকারে কারণে নবীন ব্যক্তিদের কোন স্থানে কোন সুযোগ করে দিতে চায় না। কর্ম থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই নবীনদের অগ্রাধিকার কম থাকে; তাই বলে মন্দ ব্যবহার ও অসুস্থ মানসিকতার বহির্প্রকাশ করে তা বুঝানোর চাইতে স্নেহ করে তাকে তার অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া প্রত্যেকটি প্রবীণ ব্যক্তির অন্যতম দায়িত্ব। নিজের সম্মান নিজেকেই অর্জন করতে হবে; সে দিক বিবেচনায় নবীনদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন ও অগ্রাধিকার দিয়ে নিজের প্রাপ্যটুক অর্জন করা সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। একটি সমাজে বসবাস করতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ঐ সমাজকে অনেক দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আর প্রতিটি সমাজ যদি তাদের নিজেস্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে যায় তবে সে সূত্র ধরে দেশও তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে এগিয়ে যাবে। শুধু প্রবীণরা সমাজের বা দেশের নেতৃত্ব দিয়ে সফল হতে পারবে এমন নয়। নবীন বা তরুণদেরও সুষ্ঠু নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে পারে। তাই প্রবীণদের পাশাপাশি নবীনদের নেতৃত্বের সুযোগ করে দেয়া প্রয়োজন। কাপাসিয়া, গাজীপুর থেকে
×