ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শাহীন রেজা নূর

রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা বিতর্ক

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা বিতর্ক

ইদানীং হাতে সময় থাকায় ইউটিউবে আপলোডকৃত কিছু পুরনো ও কিছু সাম্প্রতিককালের পৃথক পৃথক টক শো’ দেখছিলাম। এগুলোতে আন্দালিব পার্থ, শামা ওবায়েদ প্রমুখকে বড্ড উষ্মা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলতে শোনা গেলÑ ‘আওয়ামী লীগের অপকীর্তির সমালোচনা করলেই তাকে (নাকি) রাজাকার বলে চিহ্নিত করা হয়; তা তিনি একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা হলেও।’ সুচিন্তা ডট কমের কর্ণধার আরাফাতের এক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের জবাব দিতে গিয়ে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিকভাবে পার্থর এই উষ্মা প্রকাশ পেল। নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের ‘প্রোডাক্ট ও একজন মুক্তিযোদ্ধা’র সন্তান বলে দাবি করে তিনি কথার মারপ্যাঁচে দর্শকদের বোকা বানানোর সেই পূর্বসূরিদের কৌশলটিই অবলম্বন করলেন! একইভাবে অন্য এক টক শো’তে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কে এম ওবায়দুর রহমানের কন্যা শামা ওবায়েদের মুখেও ঐ একই প্রকার অনুযোগ শোনা গেল। অবশ্য এদের মতো বিএনপির নব্য সদস্যের অনেকের কণ্ঠেই ঐকতানে অনুরূপ অভিযোগের কথা প্রায়শই শোনা যায়। এর কারণ বোঝাটা খুব একটা কঠিন কোন ব্যাপার নয় নিশ্চয়ই। এরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও এদের পিতারা এবং এরা নিজেরাও নিছক ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থে স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে পথভ্রষ্ট হয়েছেন। ফলে এক ধরনের অপরাধবোধ হয়ত সর্বদাই এদেরকে অবচেতনে তাড়িত করে ফেরে। তাই নিজেদের এই পথচ্যুতি জায়েজ করার জন্য এদের নানান ধরনের কূটযুক্তি আর ছল-চাতুরির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে এটাও গভীরভাবে বোঝা দরকার যে, পথভ্রষ্ট ও আদর্শচ্যুত মুক্তিযোদ্ধাদের ‘রাজাকার’ হিসেবে অভিহিত করার মধ্যে তেমন কোন অন্যায় বা ভুল আছে কি-না? খুব নির্মোহচিত্তে বিষয়টিকে যদি আমরা অনুধাবনের চেষ্টা করি তাহলে দেখতে পাই, এই চিহ্নিতকরণে কোন দোষের কিছু তো নেই-ই বরং সর্ববিচারে তা সঙ্গত বলেই প্রতিপন্ন হবে। ‘রাজাকার’ শব্দটি তো ইসলামের ইতিহাসে (এমনকি ‘আল-বদর’ শব্দও তাই) একটি গৌরবজনক বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, কিন্তু বাংলাদেশে তা একটি অবমাননাকর শব্দে রূপান্তরিত হলো কেন, তাও কিন্তু আমাদের অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে। ইসলামের ইতিহাসে রাজাকার বা আল-বদররা ইসলামের গৌরবকে সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করেছিল আর একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এই দেশী ঘৃণ্য দোসর জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রসংঘ সৃষ্ট ‘রাজাকার’, ‘আল-বদর’, ‘আল-শামস’রা জেনেশুনে নিছক দুনিয়াবি মতলবি স্বার্থ হাসিলের নিমিত্তে নিরীহ, নিরপরাধ মানুষের রক্তে হোলি খেলতে মেতে উঠেছিল আর নারীদের সম্ভ্রমহানি এবং সম্পদ-সম্পত্তি লুটের কাজে নিয়োজিত থেকে জঘন্য মানবতাবিরোধী পাপাচারে লিপ্ত হয়েছিল। সুতরাং, এদের অপরাধ ছিল ধর্ম, মানবতা, সভ্যতা ও জাতিসত্তাবিরোধী জঘন্য অপরাধের নামান্তর মাত্র। এরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম রোধকল্পে কি ভয়াবহ সব অপরাধই না করেছে সেদিন! বাঙালী জাতিসত্তাভিত্তিক একটি অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্র গঠনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের বজ্র কঠিন অঙ্গীকার। আর সে সংগ্রামের মূল নেতাই ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই সত্যকে যারা মেনে নিতে পারেনি কিংবা যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সত্ত্বেও পরবর্তীতে নিজের ব্যক্তিগত লোভ-লালসা চরিতার্থ করতে এই আদর্শকে জলাঞ্জলি দিতে এতটুকুও দ্বিধা করেনি তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অভিহিত হবার যোগ্যতা স্বাভাবিক নিয়মেই খোয়াবেন বৈকি! মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি চেতনার নাম, একটি দৃঢ় প্রত্যয়ের নাম, একটি বজ্র-কঠিন অঙ্গীকারের নাম আর সর্বোপরি একটি ভাষাভিত্তিক, স্বাধীন, সার্বভৌম, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিবাদী, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের এবং সে সংগ্রাম জনগণের কামিয়াবী হাসিলের নাম। সুতরাং, নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত কেবল তখনই ভাবা সঙ্গত এবং আইনত: সিদ্ধ যখন কিনা উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলোর সঙ্গে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পিতরূপে পাওয়া যাবে; অন্যথায় নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের ‘প্রোডাক্ট বা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ হিসেবে উপস্থাপন করাটা হবে এক প্রকার ভাঁওতাবাজি ও মতলববাজি! অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হবে যে, এরা সবাই নিজ নিজ কায়েমি স্বার্থ হাসিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ঐ অঙ্গীকার, চেতনা, মূল্যবোধ, প্রত্যয় থেকে সরে এসে এগুলোর বিনাশের জন্য সর্বক্ষণ চক্রান্তরত একটি অপশক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। তাই মুক্তিযুদ্ধ ওদের কাছে কোন নীতি-আদর্শের বিষয় নয় বরং তা কেবল ঐ কায়েমি স্বার্থের যূপকাষ্ঠে নিজেদের বলি চড়ানোর মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনে অর্থ-বিত্ত-প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠার সর্বক্ষণিক প্রয়াস মাত্র। আর এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিসর্জন দিয়েও নির্লজ্জের মতো এরা মুক্তিযুদ্ধকে সুবিধা মোতাবেক ব্যবহার করে ফেরে। সাম্প্রতিককালে আন্দালিব পার্থকে এক জনসভায় তারস্বরে বলতে শোনা গেল যে, ‘কিছু আওয়ামী লীগ নেতা ইতোমধ্যেই ঐক্যফ্রন্টে চলে এসেছেন (ড. কামাল, মোস্তফা মহসিন মন্টু, আসম রব, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও সুলতান মনসুরের দিকে ইঙ্গিত), বাকিরাও অচিরেই একে একে এসে ঐক্যফ্রন্টে শামিল হবেন।’ এজাতীয় বক্তব্যই হচ্ছে ‘সস্তা জনপ্রিয়তা’ লাভের ধান্ধা। অবশ্য, এজাতীয় জারি জুরি জনতার চোখে ধরা পড়ে যেতে বেশি সময় লাগে না কিন্তু। কেননা, ওই যে, কথায় বলে না ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’। এদের (ভাগ্যেও) অনেকক্ষেত্রে তা-ই ঘটে। বিএনপি-জামায়াত মিথ্যার বেড়াজাল দিয়ে সব কিছু ঢাকতে চায়। আমরা প্রায়ই ওদের মুখে শুনতে পাই যে, বঙ্গবন্ধু সব রাজাকার-আল বদর-যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়ে গিয়েছিলেন আর সে কারণে তাদের বিচার করার কোন প্রকার ভিত্তি রাষ্ট্রের নেই বা আর ছিল না। কিন্তু, বিএনপি-জামায়াতের তাবড় তাবড় আইনজীবী বিলক্ষণ অবহিত আছেন যে, খুন, ধর্ষণ, লুট ও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে ছিল তারা কেউই ঐ সাধারণ ক্ষমার আওতায় পড়বে না। জিয়াউর রহমান ৩০ ডিসেম্বর ১৯৭৫ দালাল আইন রদ করে তার পেয়ারা পাকিস্তানী বান্ধবদের বাংলার মাটিতে পুনর্বাসন করা শুরু করেন এবং আমাদের রাষ্ট্রের মৌল দর্শনটিকেই পাল্টে দিয়ে বাংলাদেশকে মিনি-পাকিস্তান বানানোর আয়োজন করে প্রকৃতপক্ষে নব্য রাজাকারের ভূমিকাতেই আবির্ভূত হন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে এবং শেখ হাসিনা জামায়াতী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এমন মিথ্যা প্রচার প্রায়শই বিএনপি’র সমর্থক বুদ্ধিজীবীদের মুখ থেকে টিভি টক্ শোতে শুনতে পাওয়া যায়। অথচ, এই কথাটি আদৌ সত্য নয়। আওয়ামী লীগ কখনই জামায়াতের সঙ্গে একই জোটভুক্ত হয়ে আন্দোলন করেনি এবং শেখ হাসিনাও কোন জামায়াতী নেতার সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হননি। বরং, অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হবে যে, কতিপয় জামায়াতী নেতা সুযোগ বুঝে শেখ হাসিনার পাশে বসে ছবি তুলে তা দিয়ে পরে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার জন্য এসব মিথ্যা রটনা করে বেরিয়েছে যা তাদের সহজাত দুরভিসন্ধির পরিচায়ক মাত্র। হিটলারের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষাপট রচনায় মিথ্যা প্রচার সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছিল। হিটলার তার শত্রুপক্ষ হিসেবে কমিউনিস্ট ও ইহুদীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে নির্মূলের পন্থা এবং একই সঙ্গে তার নাৎসি পার্টির একছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার মওকা খুঁজছিলেন। রাইখস্ট্যাগে অগ্নিসংযোগের ঘটনা তার জন্য সেই মওকা এনে দেয় এবং এর জন্য বলতে গেলে প্রমাণ ছাড়াই কমিউনিস্টদের ওপর দোষ চাপিয়ে একদিকে তাদেরকে নিধন এবং অন্যদিকে নিজ ক্ষমতা সুসংহত করেন। এ ক্ষেত্রে বলাই বাহুল্য যে, মিথ্যা প্রচারই ছিল নাৎসিদের সবচেয়ে কার্যকর ও শক্তিশালী হাতিয়ার! ’৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর এই জার্মান প্রচার কৌশলটিই বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারীরা অবলম্বন করে আসছে। মির্জা ফখরুল, রিজভী এবং বিএনপির অন্যান্য নেতার কথাবার্তা, বক্তব্য-বিবৃতিতে এটি অত্যন্ত স্পষ্ট। ড. কামালের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট প্রথম থেকেই নানা মিথ্যার ধূম্রজাল সৃষ্টি করে এই ধারণাই জাতিকে দিতে চেয়েছে যে এটির সঙ্গে জামায়াতের কোন সং¯্রব নেই। এমনকি, তারেক জিয়ার অপরিণামদর্শী নেতৃত্বের খপ্পর থেকে বিএনপিকে উদ্ধারের এটি একটি প্রচ্ছন্ন মওকা এমন একটি ধারণাও খুবই সুকৌশলে চাউরের ব্যবস্থা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছিল এই রন্টির নেতারা। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জনগণের সচেতন অংশকে ফাঁকি দেয়ার এই কৌশলটি ধরা পড়তে সময় লাগেনি, আর এখন তো এটি স্পষ্ট যে, গোটা খেলাটিই তারেক রহমানের চাল এবং এর পেছনে আছে আইএসআই’র প্রত্যক্ষ মদদ। ড. কামাল ও ফ্রন্টের ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’ বলে দাবিদার নেতারা আসলে তারেকের হাতের পুতুল বা অন্য কথায়, ক্রীড়নক মাত্র। এবার আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে দু’একটি কথা বলা যাক। ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্ট যে বিএনপির একটি নব্য চাল তা নিশ্চয়ই এতদিনে সচেতন ব্যক্তি মাত্রই বুঝতে পেরেছেন। অচিরেই যে কামাল হোসেন সাহেবরা বিএনপি-জামায়াতের নিচে তলিয়ে যাবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কামাল সাহেবরা ভেবেছিলেন যে, পশ্চিমারা আওয়ামী লীগের ওপর থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। সুতরাং, এবার এই ফাঁকে রাষ্ট্রের কর্ণধার বনে যাবার মওকা মিলেছে। আমাদের পল্লী বাংলার কথায় এ জাতীয় সুযোগ সন্ধানীদের সম্পর্কে অতি সুন্দরভাবে বলা হয়েছে যে, ‘চাচার ঘরে আগুন লেগেছে আর আমার তামুক খাওয়ার সুযোগ জুটেছে।’ বিএনপি উঠতে বসতে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। এদের ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবীরা টিভি চ্যানেলে এসে অর্বাচীনের মতো এমন সব কথা বলেন যা শুনলে এদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বটাই ধরা পড়ে। নানান লম্বা-চওড়া এবং গরম গরম কথা বলে আওয়ামী লীগের টার্মেই নির্বাচন করতে রাজি হয়ে যাওয়ার মধ্যেও তাদের এই দেউলিয়াত্ব স্পষ্ট বৈকি। এখন নির্বাচন কমিশনের ওপর উপর্যুপরি চাপ বজায় রেখে একটি পালাবার পথ করে রাখার কৌশল নিয়েছে তারা। অর্থাৎ, নির্বাচনে হেরে গেলে যাতে সব দোষই কমিশনের ওপর চাপিয়ে নিজেরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে পারে। লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ডের কথা এরা বলছে বটে, কিন্তু সে গ্রাউন্ড যে সব পক্ষের জন্যই সমান হতে হবে সে বুঝ তাদের আদৌ আছে কি? তাদের বুঝটা এই যে, এটিকে হতে হবে তাদের মনের মতো, যা কিনা এক ধরনের ‘মামার বাড়ির আবদার’ ছাড়া কিছুই নয়। সম্প্রতি প্রথম আলোতে ঢাকার জার্মান রাষ্ট্রদূতের যে সাক্ষাতকারটি ছাপা হয়েছে তা থেকে এটি পরিপূর্ণমাত্রায় স্পষ্ট যে, হাসিনা সরকারকে কামাল সাহেব-ফখরুল সাহেবরা যে অহোরাত্র ‘স্বৈরাচারী ও অগণতান্ত্রিক’ সরকার বলে অভিহিত করে তা কত বড় মিথ্যা প্রচার। তারা বিদেশীদের বিভ্রান্ত করার জন্য কিনা করেছে? কিন্তু জার্মান রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, শেখ হাসিনার সরকার কোন স্বৈরতান্ত্রিক সরকার নয়। বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি আরও বলেছেন যে, গণতন্ত্র রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পাওয়ার বিষয় নয়। এ জন্য সকল পক্ষকে যার যার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে হয়, সরকারের একার ওপর এ জোয়াল চাপিয়ে দেয়ার কোন মানে নেই। যাই হোক, তার এই বক্তব্যটি বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য এবং আশা করা যায় যে, বিএনপি এবং তার সঙ্গী-সাথীরা এ থেকেই তাদের নিজেদের অন্তঃসারশূন্যতা বুঝতে পারবেন। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
×