ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিরোধে জনসচেতনতা চাই

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ২৯ নভেম্বর ২০১৮

প্রতিরোধে জনসচেতনতা চাই

প্রতিবছর ভেজাল ওষুধরে ফলে কয়েক হাজার শিশু মারা যায় এবং কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে যথাযথ কার্যকারিতা লাভের ক্ষমতা হারাচ্ছে। যার ফলে কোন ওষুধ তাদের রোগ সারাতে পারছে না। দিন দিন এসব ক্ষতিকারক ওষুধ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এর মাধ্যমে আমাদের ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তেমনি আমাদের স্বাস্থ্যসেবা হুমকিস্বরূপ। এ লক্ষে গত ১৫ অক্টোবর ২০১৮, কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে, ‘খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার’ সর্ম্পকে একটি টের্নিং প্রোগামের আয়োজন করা হয়। যার মাধ্যমে ১২০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হয়। আজ সারাদেশে ভেজাল ওষুধের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে একটু আলোচনা তুলে ধরছি। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধ্যাদেশ, ২০০৮ অনুযায়ী, ‘কোন ব্যক্তি মেয়াদোত্তীর্ণ কোন পণ্য বিক্রয় করিলে বা করিতে প্রস্তাব করিলে তিনি অনুর্ধ এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। কিভাবে অভিযোগ করবেন? ভোক্তা অধিকারবিরোধী কোন কাজ সংঘটিত হওয়ায় ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে অধিদফতর মহাপরিচালক অথবা প্রতিটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর অভিযোগ করতে হবে। এ অভিযোগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে। এক্ষেত্রে মুঠোফোনে এসএমএস, ফ্যাক্স, ইমেইল বা অন্য কোন উপায়ে অভিযোগকারীর পূর্ণনাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, ফোন, ইমেইল, পেশা উল্লেখ করে আবেদন করতে পারেন ক্রেতারা। এজন্য কোন ধরনের ফি দেয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে কেনাকাটার প্রমাণ হিসেবে অভিযোগকারীদের কাছে দোকানের রশিদ থাকতে হবে। ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ বা নকল পণ্য বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগের ক্ষেত্রে নমুনাও দিতে হবে। এখানে বিশেষ একটি তথ্য হচ্ছে, অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে অভিযুক্ত বিক্রতাকে যে পরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হয়, তার ২৫% অভিযোগকারীকে প্রণোদনা হিসেবে দেয় অধিদফতর। আপনারা যদি কেউ এ রকম প্রতারণার শিকার হন তাহলে এই আইনের সাহায্য নিতে এখানে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন- জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র্র্র, টিসিবি ভবন- ৯ম তলা, ১ কারওয়ান বাজার ঢাকা, ফোন-০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮, ইমেইল[email protected]. এছাড়া ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, ওষুধ কোম্পানি, এনজিও এবং গণমাধ্যমের আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে
×