স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭ কেজি ওজনের ৫৬টি সোনার বারসহ আন্তর্জাতিক সোনা চোরাচালান চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-২। গ্রেফতারকৃতরা হলো, লিটন হোসেন, আমিনুল, শাহ আলম ও মোছাঃ আয়েশা বেগম। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ অধিনায়ক লে. কর্নেল ইফতেখারুজ্জামান। তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানকারী চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন আনুমানিক ৭ কেজি।
র্যাব জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালাস হওয়া বিপুল পরিমাণ সোনার একটি চালান রাজধানীর যে কোন বাস টার্মিনাল দিয়ে সীমান্ত এলাকা শার্শার দিকে যাবে। র্যাব সেটা মাথায় রেখে রাজধানীর মহাখালী, গুলিস্তান ও গাবতলী বাস টামির্নালের আশপাশ এলাকায় সোর্স মোতায়েন করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব নিশ্চিত হয় গাবতলীর দিকে যাচ্ছে কয়েকজনের একটা চক্র। তাৎক্ষণিক র্যাব সদস্যরা সেদিকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছে সোনা আছে কি না জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করে। এতে তাদের দেহ তল্লাশি করে পরনের বেল্ট ও জুতার ভেতরে কৌশলে লুকানো বিপুল পরিমাণ সোনা পাওয়া যায়। তখন তারা স্বীকার করে এ সোনার চালান মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের রুট ব্যবহার করে ঢাকায় আনা হয়। সবই আসে আকাশ পথে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে এগুলো খালাস করার পর সড়ক পথে রাজধানী থেকে সীমান্ত জেলায় পাঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা গাবতলী যাচ্ছিল। লে. কর্নেল ইফতেখারুজ্জামান জানান, শুক্রবারই পুরনো ঢাকায় এ চক্রের কাছে অপর এক ব্যক্তি এ চালান হস্তান্তর করে।
র্যাব পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা ইউনিটের সহযোগিতায় র্যাব-২ এর একটি চৌকস দল এ চক্রটিকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার চোরাচালানি বলে স্বীকার করেছে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এ সোনার নেপথ্য নায়কদের চিহ্নিত করা যাবে।