ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের টুকিটাকি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচনের টুকিটাকি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মনোনয়ন বাণিজ্য না হলে এবার হিরো আলমও দলীয়ভাবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে আশাবাদী। বগুড়া-৪ আসনে জাতীয় পার্টির টিকেটে নির্বাচন করতে চাওয়া আলম দলটির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। হিরো আলম বলছেন দলীয় প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আলম মনে করছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি সংসদ সদস্য হয়েও যেতে পারেন। শনিবার হিরো আলমের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় জনকণ্ঠের। তিনি জানান, তার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন সম্ভাবনা রয়েছে এমন প্রশ্নে বলেন, তিনি কথা বলেছেন দলীয় প্রধান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে। একইভাবে দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোহেল রানার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাতে মনে হয়েছে তারা যথেষ্ট যোগ্য মনে করছেন হিরো আলমকে। হিরো আলমের প্রার্থী হওয়ার এই প্রচারে অনেকটা সরগরম হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের (হেড অব নিউজ) হারুন উর রশিদ স্বপন হিরো আলমকে নিয়ে নিজে ফেসবুক পেজ এ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে হারুন লিখেছেন ‘হিরো আলমের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করেন? ভাল। এবার যোগ্যদের দুর্নীতি নিয়ে একটু প্রশ্ন করেন না! করবেন মাননীয় সাংবাদিক?’ এই স্ট্যাটাসের নিচে শোভা জান্নাত নামে অপর একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মতামতে লিখেছেন, সাংবাদিকের কাজই প্রশ্ন করা , এরা সব কিছুকে প্রশ্ন করে। আলম আসলে কি সমস্যার সমাধান হবে? এরা কি দুর্নীতির বাইরে থাকবে? এভাবে পক্ষ বিপক্ষে নানা মতামত এলেও হিরো আলমদের কাছেও রাজনৈতিক দলগুলোর কেন মনোনয়ন ফরম বিক্রি করতে হচ্ছে সেই প্রশ্ন কেউ তোলেননি। সংসদ সদস্যদের প্রধান দায়িত্ব আইন প্রণয়ন করা যদিও এখন পদটির বহুমাত্রিক ব্যবহার রয়েছে। আর সেসব কিছুর বেশির ভাগই অলিখিত। তবে একজন সংসদ সদস্যের প্রধান কাজ আইন প্রণয়নে হিরো আলম কতটা যোগ্য! এই প্রশ্ন থেকেই যায়। হিরো আলমের শিক্ষাগত যোগ্যতা কি সেই প্রশ্নে তিনিই জানান, ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন তিনি। প্রথম পেশা ছিল চানাচুর বিক্রি। কিছু দিন আচারও বিক্রি করছেন। এরপর ডিস লাইনের ব্যবসা আর শেষমেস মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়। এরপর নিজেই বিভিন্ন খ- নাটিকা অভিনয় করে ইউটিউবে ছেড়েছেন। সেখানে নেহায়েত হিরো আলমদের দর্শক সংখ্যা কম নয়। যদিও কতটা দর্শকপ্রিয়তা রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। রাজনীতিতে হিরো আলম নতুন কেউ নন এর আগে দুবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেন নিজের ইউনিয়ন এরুলিয়াতে দুবার ইলেকশন করেছেন সদস্য পদে। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি ১ হাজার ৭০০ ভোট পেয়েছিলেন। সেখানে বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার ব্যবধান ছিল ১৬ ভোটের আর দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালের নির্বাচনে ১ হাজার ৪০০ ভোট পেয়েছিলেন। যেখানে ৭১ ভোটের ব্যবধানে তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। কেন রাজনীতি এমন প্রশ্নে বলেন, আমি সাহসী মানুষ। আমার সাহসই জিরো থেকে আমাকে হিরো বানিয়েছে। আমি মানুষের জন্য কাজ করতেই চাই এজন্যই নির্বাচন করব। সবাই তো নির্বাচনের পর বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করে আমি করব ছোট ছোট প্রকল্প নিয়ে। এতে সাধারণ মানুষের কল্যাণ হবে।
×