ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৯ নভেম্বর ২০১৮

ঝলক

পিরামিড তৈরির রহস্য ভেদ পিরামিড নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে এটির গঠন কৌশল নিয়ে ভাবতে গিয়ে মানুষ বিস্মিত হয়। এবার সেই রহস্যের জাল ভেদ করেছেন একদল বিজ্ঞানী। কায়রোর ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট ফর ওরিয়েন্টাল আর্কিওলজি এবং ব্রিটেনের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ তথ্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। পিরামিড যেসব পাথরের টুকরো দিয়ে নির্মিত তা ঠিক কীভাবে উপরে তোলা হয়েছে, তার একটি নক্সা তৈরি করেছেন তারা। তারা বলছেন, প্রাচীন মিসরীয়রা পাথরের বড় বড় খ- উপরে তোলার জন্য এক ধরনের জটিল পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। এক্ষেত্রে তারা একটি ধাপবিহীন সিঁড়ি এবং এর দুই পাশে দুটি ধাপযুক্ত সিঁড়ি ব্যবহার করতেন। সিঁড়ির ভেতরপ্রান্তের উভয়পাশে দেড় ফুট পর পর কাঠের খুঁটি বসাতেন। তারা আরও বলেন, পাথরের খ-ের নিচে কাঠের তক্তা ব্যবহার করা হতো, যা চাকার কাজ করত। এরপর খ-গুলো মোটা দড়ি পেঁচিয়ে কাঠের খুঁটির সঙ্গে প্যাঁচ দিয়ে উপর ও নিচ থেকে টানা হতো। সিঁড়ির দু’পাশে ধাপযুক্ত সিঁড়িতে চারজন করে আটজন এবং নিচেও চারজন করে আটজন কর্মী রশি ধরে টানতেন। এভাবে টেনে কাঠের খুঁটির উপরের ধাপে গেলে পেছনে কিছু দিয়ে ঠেকা দেয়া হতো। তারপর রশি উপরের ধাপের খুঁটির সঙ্গে পেঁচিয়ে আবারও টেনে উপরে তোলা হতো। ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউট ফর ওরিয়েন্টাল আর্কিওলজির গবেষক ইয়ানিস গর্ডন বলেন, গিজার সবচেয়ে বড় পিরামিডটিতে এভাবে পাথরের খ-গুলো তোলা হতো। তিনি বলেন, এখন আমাদের আগ্রহের বিষয় পিরামিডে মরদেহগুলোর সঙ্গে আর কী কী পদার্থ ব্যবহার করা হতো। লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোনাল্ড ইনমার্চ বলেন, পিরামিড তৈরির সময় যে ফাঁকফোকরগুলো তৈরি হতো তা পাতলা কাঠের টুকরো দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। Ñদ্য টাইমস অবলম্বনে তোতা মানব বিশ্বাস করুন আর নাই করুন। এবার প্রিয় তোতাপাখির মতো মুখের গড়ন তৈরি করতে গিয়ে নিজের দুটি কানই কেটে ফেললেন টেড রিচার্ড নামে এক ব্রিটিশ। শুধু কি তাই? তার নাকটি যেন তোতাপাখির ঠোঁটের মতো দেখায় এ জন্য ঠোঁটে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৫৬ বছর বয়সী এই পাখিপ্রেমী। আবার নিজের বান্ধবীকে তোতাপাখির মতো দেখানোর জন্য তার শরীরে তোতার নানা ট্যাটু এঁকেছেন রিচার্ড। তোতাপাখির মতো মুখের গড়ন করতে গিয়ে কপাল, মাথা ও কানের দু’পাশ ও নাকের হাড়ে মোটা পিন বসিয়েছেন রিচার্ড। খবরে বলা হয়েছে, ব্রিস্টলের নিজ বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে চারটি তোতা পোষেন তিনি। চাকরি থেকে অবসরের পর বান্ধবী ও এই চার তোতাই তার সঙ্গী। তার চার তোতার নাম-এলি, টিকা, টিমেহ ও জ্যাক। তোতাদের সকাল ও বিকেলের খানাপিনা যাতে ঠিকঠাক হয় এ জন্য ঘরে সব সময় গম ও যব জাতীয় শস্যের মজুদ রাখেন তিনি। আবার বাইরে গেলে তোতাগুলো তার মাথা, ঘাড় ও হাতের ওপর বসে খেলা করে। টেড রিচার্ড বলেন,আমি অন্যদের চেয়ে আলাদা হতে চেয়েছিলাম। তাই তোতা সাজতে চেয়েছি। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ব্রিটিশ গণমাধ্যম তাকে ‘প্যারোট ম্যান’ নামে অভিহিত করেছে। -টেলিগ্রাফ অবলম্বনে
×