ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

ভাল খেলেই চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৪ নভেম্বর ২০১৮

ভাল খেলেই চ্যাম্পিয়ন শেখ হাসিনা

এ মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তাপ প্রশমনের পথে এগিয়ে চলেছে। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মনসুর আহমেদ, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ পাঁচমিশেলী ঐক্যফ্রন্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাওয়াতে গণভবনে নৈশভোজে আপ্যায়িত হলেন। উভয়পক্ষ ডায়ালক টেবিলে বসলেন। আলোচনা হলো। জাতির জন্য এটি যেমন স্বস্তির তেমনি শেখ হাসিনার ক্যারিশমা আরেকবার প্রমাণিত হলো। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবার ও বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত সালুন দিয়ে আপ্যায়ন করা হলো। তারা দেশের পরিস্থিতি তথা আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা বললেন। যুক্তি-পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করলেন। কি হয় কি হয়, নাকি কিছুই হবার নয়- নানান কথাবার্তা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। তবে ইতিহাস বলে কিছু একটা তো হবেই- হয় সাফল্য নয় ব্যর্থতা। প্রশ্ন হচ্ছে সাফল্য কার এবং ব্যর্থতা কার? চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় যা কিছু সাফল্য, তার সবটাই যাবে শেখ হাসিনার ঘরে, আর যা কিছু ব্যর্থতা সবই যাবে প্রতিপক্ষ ড. কামাল হোসেন গংদের কোর্টে। শেখ হাসিনা একেকটি পদক্ষেপ নিচ্ছেন, যাতে রাজনীতি ও রাজনীতির অঙ্গন তার নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এবারও তাই হলো। শেখ হাসিনা অত্যন্ত শক্ত অবস্থান থেকে তাদের দাওয়াত করলেন। একদিকে দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অবাক করা উচ্চতায় তুলে দেন, সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জেল হত্যার বিচার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যার বিচার এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রেক্ষাপটে তার অবস্থান সবার ওপরে। পক্ষান্তরে ঐসব হত্যাকা-ের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অঙ্গুলি নির্দেশ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাসহ শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে। বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছিলেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাতে প্রয়োজনে শয়তানের সঙ্গে ঐক্য করবেন। মনে হয় সেই ঐক্য হয়েছে এবং শেখ হাসিনাও সুযোগ হাতছাড়া করলেন না। যে হারে বিএনপি নেতারা জুস খাচ্ছিলেন এবং আরও কি কি যেন, এরপর তারা কি বলবেন? এবং তাদের পাকি-সুশীল বন্ধুরাইবা কি বলবেন? ২০০৮ সাল থেকে শেখ হাসিনা এমন এক ইতিবাচক রাজনীতি চালু করে দিয়েছেন যার সুফল বাংলাদেশের জনগণ পেয়ে আসছে। কলামিস্ট স্বদেশ রায়ের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলা যায়, শেখ হাসিনা রাজনীতির অঙ্গন সবটাতে নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন সকলকে শেখ হাসিনার পথেই হাঁটতে হবে। শেখ হাসিনা কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্ব নেতৃত্বের পরিম-লেও এমন এক জায়গায় অবস্থান করছেন যার তুলনাও কেবল তিনি নিজেই। সাম্প্রতিক এক জরিপে উঠে এসেছে বিশ্বের ৫ জন ক্ষমতাবান সফল রাষ্ট্রনেতার মধ্যে শেখ হাসিনা তৃতীয় এবং ৩ জন সৎ রাষ্ট্রনেতার মধ্যে অন্যতম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অপর এক জরিপে দেখানো হয়েছে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ৬৬% (বাংলাদেশে)। বিশ্বে আরও বেশি। অন্তিমে আমাদের বঙ্গবন্ধুর কাছেই যেতে হয়, যেতে হয় স্বাধীনতার মূলধারার কাছে, অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কাছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও মূলধারার পথ ধরে হাঁটছেন বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ এবং তিনি বিশ্বব্যাপী মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রতিটি কার্যক্রমে বাংলার গরিব-দুঃখী মানুষকে স্মরণ করতেন, এক মুহূর্তের জন্যও তাদের ভুলে যাননি। শেখ হাসিনা সেই গরিব-দুঃখী মানুষের ভাল-মন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলেই মানুষের পেটে দু’বেলা ডাল-ভাত, মাছ-ভাত জুটছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকে না, মানুষের পরনে পরিচ্ছন্ন পোশাক, কোন মানুষ খালি পায়ে হাঁটেন না, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ইউনিফরম পরে স্কুলে যাচ্ছে, যে স্কুলে ইউনিফরম এখনও হয়নি (অল্প সংখ্যক) সেখানেও ছেলেমেয়েরা জিন্স-কেডস তথা ভাল পোশাক পরে ক্লাসে যাচ্ছে; উপবৃত্তির টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মায়ের কাছে মোবাইল-টু-মোবাইল সরাসরি যাচ্ছে (এখন আর কোন অসৎ শিক্ষক কমিশন খেতে পারছে না), মানুষ গ্রামে বসে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে; পদ্মা সেতু, মহাকাশ বিজয় এবং মহাকাশ কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট; সমুদ্র বিজয়, স্থলসীমা চুক্তি, কর্ণফুলী টানেল, পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র প্রভৃতি বড় বড় কাজ হয়েছে এই দশ বছরে। পদ্মা সেতু কেবল একটি সেতু নয়, এটি আমাদের আত্মশক্তির জাগরণ। আমাদের কিছু সুশীল যতই বলুন দেশের উন্নয়ন হয়েছে সত্য, তবে বৈষম্য বেড়েছে। তারা সব কিছু অন্ধের মতো দেখছে, বিচার করছে। মানুষের হাতে গরিব-ধনী নির্বিশেষে টাকা আছে অবশ্যই। তবে কারও কাছে বেশি কারও কাছে কম, একেবারে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই গ্রামীণ জীবন আর নেই, এখন গ্রামীণ জীবন আর নগর জীবনের মধ্যে দূরত্ব কমে এসেছে; গ্রামে গ্রামে বিদ্যুত চলে গেছে, গ্রামে আগে টিভি-এন্টেনা দেখা যেত, এখন তা নেই, এখন ডিস লাইনের মাধ্যমে মানুষ টিভি দেখে, গ্রামের মানুষও রাত জেগে টিভির টক-শো দেখে এবং সকাল বেলা চা-এর দোকানে বসে ঝড় তোলে; কোন ইনফরমেশনের প্রয়োজন হলে মোবাইল তো আছেই; সোশ্যাল মিডিয়া বা ফেসবুক চর্চা এখন ঘরে ঘরে। বলা যায় এক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে গেছে। এ সবই শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা, দূরদৃষ্টি, মেধা, সাহস এবং সংগ্রাম, সর্বোপরি একজন সৎ মানুষ বলে তার রাজনীতিতে পলিটিক্স ঢোকেনি, ঢুকছে না, যে কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময় এবং শেখ হাসিনা ঈর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। সাম্প্রতিককালে মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচাতে এক মিলিয়নের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয়-খাদ্য-ঘর দিয়ে বাংলাদেশকে মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন। বিশ্ব তাকে বলছে মাদার অব হিউম্যানিটি। এখানেই তিনি অদ্বিতীয় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এমনি এক বর্ণাঢ্য ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডায়ালগে অংশ নিলেন। নির্বাচনও খুব কাছাকাছি। এ সময়ে তার সামনে আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ এলো। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট সংলাপের প্রস্তাব দিলে শেখ হাসিনা সঙ্গে সঙ্গে তা গ্রহণ করলেন। এর মাধ্যমে তার রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক যোগ হলো। শেখ হাসিনা সংলাপের প্রস্তাব দেননি, দিয়েছেন ড. কামালের নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট। এই ফ্রন্টে রয়েছে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বাধীন বিএনপি জোট। অবশ্য ফখরুলের এক হাত ড. কামালের হাতে আরেক হাত রক্তাক্ত জামায়াত-শিবিরের হাতে। তবে আড়ালে ব্যাক বেঞ্চার। এখানে ড. কামাল এবং তার সঙ্গীরা মুখ্য। ড. কামালের সঙ্গে আরও যারা ছিলেন তারা হলেন আ স ম আবদুর রব, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ। তারা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগে ছিলেন। ড. কামাল হোসেনকে তো বঙ্গবন্ধু নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে, যেমন সংবিধান প্রণয়ন ইত্যাদিতে সম্পৃক্ত করেছিলেন। মূলত তাদের সঙ্গেই শেখ হাসিনা সংলাপে বসেন। এই সংলাপের যা কিছু সুফল তার পুরোটাই শেখ হাসিনা এবং দেশবাসীর কোর্টে। বলা যায় বিএনপি ও মান্নাদের অসার হুমকি-ধমকিও আর শোনা যাবে না। জনগণ স্বস্তি পেল। এখানে একটা কথা বলা দরকার। শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংলাপে বসেননি, বসেছেন সাবেক সহযোগীদের সঙ্গে। এর আগে দেশের সুশীল সমাজ (বেশিরভাগই পাকিপন্থী) এবং বিএনপি যতই সংলাপের কথা বলেছে, প্রস্তাব দিয়েছে শেখ হাসিনা কর্ণপাত করেননি। এর কতগুলো ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে। দূর অতীতের কথা বলব না, নিনিয়ান তারাংকো বা জলিল-মান্নান ভুইয়ার উদাহরণও আনব না, নিকট অতীতেও এর তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্লামেন্টের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে খালেদাকে সরকারে যোগ দিয়ে মিলেমিশে নির্বাচনকালীন সমঝোতার সরকার গঠন করে নির্বাচন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনকি শেখ হাসিনা এও বলেছিলেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, আইনসহ যে মন্ত্রণালয় চান দেয়া হবে। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রস্তাব ভিন্নমাত্রা যোগ করে। খালেদা জিয়া এর গুরুত্বই বোঝেননি, বোঝার মতো রাজনীতির জ্ঞান তার নেই। তিনি শেখ হাসিনার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে জামায়াত-শিবিরের কথায় পেট্রোলবোমা হাতে নিলেন, শত শত মানুষকে হতাহত করলেন, ট্রাক-বাস-ট্রেন, রিকশা-রিকশাভ্যান, কার পোড়ালেন, রাস্তার গাছ কেটে সাবাড় করলেন, নির্বাচনের আগে-পরে আওয়ামী লীগ কর্মী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি পোড়ালেন, তাদের বাড়িছাড়া করলেন, পাঁচশতাধিক স্কুলঘর পোড়ালেন, প্রিসাইডিং অফিসার হত্যা করলেন; কিন্তু নির্বাচন ঠেকাতে পারলেন না। দ্বিতীয়ত শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে গণভবনে ডাল-ভাত, মাছ-ভাতের দাওয়াতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে টেলিফোন করেছিলেন। সেই ফোনালাপ বাংলাদেশের মানুষ শুনেছেÑ কি অশোভন ভাষায় খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার প্রস্তাবের জবাব দিয়েছেন। খালেদা যে ভাষায় কথা বলেছিলেন তা কেবল অশোভনই নয়, রাজনৈতিক শিষ্টাচারেরও বিরোধী। অপরদিকে শেখ হাসিনা ছিলেন ধীরস্থির এবং মার্জিত। তৃতীয়ত খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মারা গেলে শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাবার জন্য তার গুলশানের কার্যালয়ে গেলেন। সেখানে তিনি ‘সরকার উৎখাত’ না হওয়া পর্যন্ত বেরোবেন না বলে পণ করে অবস্থান করছিলেন। বাড়ির গেটে গেলে ভেতর থেকে শেখ হাসিনার মুখের ওপর ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা ফেরত এসেছিলেন। একটা কথা খালেদা জিয়া ভুলে গিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনা জাতির পিতার কন্যা। মুক্তিযুদ্ধের পর যখন জিয়া তাকে ঘরে তুলছিলেন না তখন ধানম-ি ৩২ নম্বরের বাসভবনে এই শেখ হাসিনা এবং বঙ্গমাতার কাছেই গিয়েছিলেন। তার ঘর রক্ষা পেয়েছিল। যে কারণে বিএনপি কিংবা পাকিপন্থী সুশীলরা যত সংলাপ-সংলাপ করেছে শেখ হাসিনা তাতে কর্ণপাত করেননি। তাহলে এবার করলেন কেন এমন প্রশ্ন কেউ কেউ করতে পারেন। তাদের জানা দরকার কখন কিভাবে রাজনীতির ইনিংস জয় করা যাবে এটা শেখ হাসিনা ভালই জানেন। আর তাই ড. কামাল চিঠি দেবার সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে তাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন, যাতে দেশবাসীই নয়, বিশ্ব নেতৃত্বও সাধুবাদ জানাচ্ছেন। সংলাপ শেষ হলো। শেখ হাসিনা তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় ড. কামালদের ডিফেন্সি ঠেলে দিলেন। শোনা যায়, এমনকি ৭ দফার পক্ষেও তারা জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি। কারণ এটি আইন এবং সংবিধানের প্রশ্ন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যা আগে কোন প্রস্তাব দেননি। আগে শুনলেন ফ্রন্ট কি চায় কেন চায়। ফ্রন্ট প্রথমেই যে প্রস্তাবটি দেয় তা হলো কারাভোগরত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আরেকটি সরকারের পদত্যাগ এবং পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া। আমরা মনে করি, এই দুটি দাবির প্রেক্ষিতে বল ড. কামালের কোর্টে। আইনের কোন্ ধারা বলে সরকার তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করবে ড. কামাল কী জবাব দিলেন জানি না। তবে লে-ম্যান হিসেবে বুঝতে পারি কি জবাব দিতে পারেন আইনজ্ঞ মহোদয়। অবশ্য ড. কামাল প্রথম থেকেই রিলাকটেন্ট। বিএনপি নেতারা যখন তাকে খালেদার মুক্তির কথা বলতে চাপ দিচ্ছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, ওটা তো ৭ দফায় আছে। অর্থাৎ দায়সারা ব্যাপার। সরকারের পদত্যাগ ও পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেবার দাবির প্রেক্ষিতে সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা কি দিকনির্দেশনা দেবেন? বলবেন আপনি তো ড. কামাল একটা সময় বলেছেন সংবিধান সংশোধন করা যায় মুহূর্তের মধ্যে। এটিও একটি অগণতান্ত্রিক-স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব। এভাবে শেখ হাসিনা ভাল খেলেই জয়লাভ করলেন। নির্বাচনের আগেই নির্বাচনী বিজয় তার ঘরে উঠল। মুখ বন্ধ হলো সংলাপ-সংলাপ করে সুশীল বাবুদের কোরাস গাওয়া। মুখে কুলপ পড়ল সবার। ঢাকা ॥ ১ নবেম্বর ২০১৮ লেখক : সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব ও সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×