ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় বছর জেল হতে পারে নেইমারের!

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২ নভেম্বর ২০১৮

ছয় বছর জেল হতে পারে নেইমারের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই সুপারস্টার লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে কর ফাঁকির মামলায় সাজা ভোগ করতে হয়েছে। স্পেনের নিয়মের কারণে তাদের জেলের শাস্তি হলেও হাজতবাস করতে হয়নি। জরিমানা দিয়ে পার পেতে হয়েছে। এই দুই তারকার মতো একই ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। স্পেনে ছয় বছর কারাবাসের শাস্তির মুখে বার্সিলোনার সাবেক এই তারকা। স্পেনে সাধারণত দুই বছরের শাস্তি হলেও সেটা স্থগিত সাজা হয়। তাই সরাসরি জেল খাটতে হয়নি মেসি-রোনাল্ডোকে। কিন্তু ব্রাজিলে সে সুযোগ নেই। শেষ পর্যন্ত স্পেনে বিচার হলে আর্জেন্টাইন ও পর্তুগীজ তারকার মতো একই অবস্থা হতে পারে ব্রাজিলিয়ান তারকার ক্ষেত্রেও। দলবদল নিয়ে নেইমার যেমন বিতর্কে জড়িয়েছেন, তেমনি বিতর্কে জড়িয়েছে বার্সিলোনাও। মাদ্রিদের কোর্টে বিচারপর্ব প্রায় শেষ। আগামী মাসেই শুনানি পর্ব শেষ হবে, তারপরই রায়। মামলা যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মুখে নেইমার। সেটা হলে ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে পিএসজি তারকার। বিচারে নেইমারের যদি ছয় বছরের জেল হয়, তাহলে বার্সিলোনার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সান্দ্রো রোসেলও কারাবাসের সম্মুখীন হবেন। যদিও অন্য মামলায় তিনি এখন জেলেই আছেন। ২০১৪ সাল থেকে শুনানি চলছে। সম্প্রতি মাদ্রিদের ফৌজদারি কোর্টে তিন বিচারপতি বসেছিলেন নেইমারের মামলা নিয়ে। মামলার পক্ষ তিনটি। একদিকে নেইমার, অন্যদিকে বার্সিলোনা। মাঝে নেইমারের এজেন্ট। নেইমারকে অর্থ দেয়া নিয়ে ব্যাপক জালিয়াতি করা হয়েছে বলে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ। স্বয়ং সেই দোষে দুষ্ট নেইমার। সেখানে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, অর্থের লেনদেনের মধ্যে গরমিল ধরা পড়েছে। শুধু নেইমার নন, বার্সিলোনার মতো ক্লাব কিভাবে এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হলো তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট এই গরমিলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে সবাইকেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে। সান্টোস থেকে বার্সিলোনা আসার সময় নেইমারের মূল্যের ৪০ ভাগ মালিকানা ছিল ডিআইএসের। প্রথমে জানা গিয়েছিল সান্টোস থেকে নেইমারকে কেনার সময় ১৭.১ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে বার্সিলোনা। ডিআইএসকে ওই অর্থের ৪০ ভাগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায় নেইমারকে আনতে আসলে ৫৭.১ মিলিয়ন খরচ হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস তাই অভিযোগ করেছিল, দলবদলের আসল অঙ্কটা গোপন করে তাদের ঠকানো হয়েছে। পরে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব নেইমার ও তার বাবার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছিল ডিআইএস। সেখানেই নেইমারের বিরুদ্ধে দুই বছরের জেলের শাস্তি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে শাস্তি বেড়ে এখন ছয় বছরও হয়ে যেতে পারে। মামলায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে বার্সিলোনার পক্ষে রোসেল ও নেইমারদের একটি চুক্তি হয়েছিল। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২০১৪ সালে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন নেইমার। ফলে কোন ট্রান্সফার ফি না দিয়েই বার্সিলোনায় যেতে পারবেন। বিনিময়ে নেইমাররা ৪০ মিলিয়ন ইউরো পাবেন। কিন্তু ২০১৩ সালেই বার্সিলোনায় যান নেইমার। তাই সান্টোসকে ১৭ মিলিয়ন দিতে হয়েছিল বার্সার। বাকি ৪০ মিলিয়ন পিতা-পুত্র পেয়েছেন। এই প্রতারণার কারণেই এখন শাস্তির মুখোমুখি নেইমার।
×