ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ মেহরাব ইসলাম (সজীব)

চাই জাগরণ

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১ নভেম্বর ২০১৮

চাই জাগরণ

আধুনিকতার নামে কিছু কার্যকলাপের জন্য আমাদের সমাজ থেকে শিষ্টাচার ও সৌজন্যতা হারিয়ে যেতে চলেছে। ‘সম্মান’ শব্দটি থেকে মানুষগুলো দূরে সরে যাচ্ছে। কিশোর ও তরুণ বয়সের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন ধরনের সিনেমা, নাটক, ধারাবাহিক ইত্যাদি দেখে দেখে সেই ধরনের আদব-কায়দা শিখছে। এর নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় সিরিয়ালগুলো। তবে, সন্তানের এরূপ আচরণের পেছনে শুধু চলচ্চিত্র জগতই দায়ী নয়, তাদের বাবা-মাও দায়ী। একদিনে তাদের এমন অবস্থা হয়নি। বাবা-মায়ের উচিত প্রতিটি সন্তানকে সামাজিক শিক্ষা দেয়া। শিষ্টাচার ও সৌজন্য সম্পর্কে তাদের অবহিত করা। কিন্তু, আরেকটি সমস্যা হচ্ছে বাবা-মা নিজেরাই শিষ্টাচার ও সৌজন্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। উন্নতির লোভ তাদের ভাল গুণগুলো থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। আধুনিকায়নের ফলে মানুষ ধীরে ধীরে আত্মনির্ভরশীল হতে শিখছে। এর ফলে তারা ভুলে যাচ্ছে মানুষের প্রয়োজন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থাও এর সঙ্গে জড়িত। বিগত কয়েক বছরে প্রশ্নফাঁস আমাদের সমাজের একটি আলোচিত বিষয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশ্নের আশায় থেকে ভালভাবে পড়াশোনা করছে না। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে অসংখ্য ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের স্টাইলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। এর ফলে তারা নিজের স্বভাবজাত আচরণ বাদ দিয়ে এখন অন্যদিকে ধাবিত হচ্ছে। একজনকে পেছনে ফেলে আর একজনের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা প্রত্যেককে করে ফেলেছে অন্ধ। প্রত্যেকে অবলীলায় বিসর্জন দিচ্ছে নিজস্ব নৈতিকতা আর মূল্যবোধকে। ভুলে যাচ্ছে শিষ্টাচার ও সৌজন্য। অনেক সময় মানুষের উচ্চাকাক্সক্ষা, উচ্চাভিলাষ তার শিষ্টাচার ও সৌজন্যর মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অধিক সুখ আর বিলাসী জীবনের আশায় মানুষ যখন বিপথগামী হয় তখন সে শিষ্টাচার ও সৌজন্য ভুলে যায়। এছাড়া নিরক্ষরতা, শিক্ষা সংকট এবং শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ থাকার কারণেও এর অবক্ষয় হয়। জাতিকে আবার নতুন করে আলোকিত করার চেষ্টা করতে হবে। তাদের মধ্যে শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে। শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ থেকে
×