আপনার গাড়ি কি আপনার জীবন বাঁচাতে পারবে? উত্তর হতে পারে, হ্যাঁ। গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল ইসিজি করার মাধ্যমে আপনার হৃৎপি-ের কোন জটিলতা থাকলে তা জানাবে, এমন গাড়ি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনের বেলফাস্টভিত্তিক একটি কোম্পানি আগামী দুই বছরের মধ্যেই বাজারে এমন ধরনের গাড়ি নিয়ে আসতে চলেছে।
বিশ্বে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা। বয়স ত্রিশ পার হলেই এখন হৃদরোগে অনেক মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়। তাই প্রতিনিয়ত আপনার হৃদযন্ত্রকে পর্যবেক্ষণ করতে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাম বা ইসিজি করানো জরুরী। এ পরীক্ষার মাধ্যমে হৃৎপি-ের স্পন্দন, ইলেকট্রিকাল এ্যাকটিভিটি জানা যায়। হৃৎপি-ের কোন সমস্যা আছে কি না, তা জানতে ইসিজি তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূলত হাসপাতালে দশটি ইলেকট্রোডের মাধ্যমে ইসিজি করতে হয়। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে মানুষ নিজেই ইসিজি করানোর সুবিধা পাচ্ছে। কিছুদিন আগে এ্যাপলের নতুন স্মার্টওয়াচে ইসিজি করার সুবিধা সংযুক্ত হয়। গাড়ি চালাতে গিয়েও অনেকে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভোগেন, তা দুর্ঘটনার কারণ হয়ে ওঠে। বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবার ব্রিটেনের একটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমন একটি গাড়ি তৈরি করছে যার স্টিয়ারিং হুইলে ইসিজি করার যন্ত্র সংযুক্ত থাকছে। বি-সিকিউর নামের ওই প্রতিষ্ঠানের এই প্রযুক্তি চালকের অবসাদ, ক্লান্তি এমনকি হৃদস্পন্দনের সমস্যা শনাক্ত করবে। বিশেষ কার্ডিয়াক সিগনেচারের মাধ্যমে গাড়ির চালককে শনাক্ত করা ও গাড়ি খোলার ব্যবস্থা থাকবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সিইও এ্যালান ফোরম্যান বলেন, গাড়ির ইলেকট্রনিক্স, বিশেষ করে স্টিয়ারিংয়ের ইলেকট্রনিক্স হৃদস্পন্দন শনাক্ত করতে পারে। এই কারণে হৃৎপি-ের ছন্দ, ক্লান্তি এসব পরিমাপ করা যাবে এই প্রযুক্তিতে। গাড়িতে এই প্রযুক্তি সংযুক্ত থাকার ফলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে চালক নিজের হৃৎপি-ের সমস্যা আগেই জানতে পারবেন। প্রয়োজনে সতর্ক হয়ে হৃৎপি-ের সমস্যা দূর করার পদক্ষেপ নিতে পারবেন। বি-সিকিউর নামের প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যে তাদের এই প্রযুক্তিগত গাড়ি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। -ডেইলি মেইল
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: