ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উম্মতের শান্তি ও দোয়া কামনায় শেষ হলো ঢাকা জেলার এজতেমা

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

উম্মতের শান্তি ও দোয়া কামনায় শেষ হলো ঢাকা জেলার এজতেমা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উম্মতের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে তবলীগ জামাতের ঢাকা জেলার এজতেমা শেষ হয়েছে। শনিবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের পর সকাল ৯টার দিকে দোয়া করেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা মোশাররফ হোসেন। এ সময় তিনি উম্মতের হেদায়েতের জন্য দোয়া করেন। যাতে করে সবাই দ্বীনের ওপর চলতে পারে। মুসল্লিরা জানান, শনিবার ফজরের নামাজের পর হেদায়েতের বয়ান শুরু করেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী। প্রায় দুই ঘণ্টা বয়ানের পর সকাল ৯টার দিকে দোয়া শুরু করেন মাওলানা মোশাররফ হোসেন। দোয়ার শুরুতে তিনি উম্মতের হেদায়েতের জন্য দোয়া করেন। সবাই যাতে দ্বীনের ওপর চলতে পারে। দ্বীনের দাওয়াতের মেহনত বিশ্বের প্রতিটি স্থানে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। তার জন্য দোয়া করা হয়। প্রায় ২০ মিনিটের এই বয়ানে দেশবাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করা হয়। হিংসা ও বিদ্বেষ ভুলে দ্বীনের ওপর সবার চলার জন্য দোয়া করা হয়। আগামী বিশ্ব এজতেমা ২০১৯ সালের জানুয়ারি ১১, ১২, ১৩ তারিখ কামিয়াব হতে পারে। মোনাজাতের পর দ্বীনের দাওয়াতের মেহনতের কাজ করার জন্য দেশ ও বিদেশের উদ্দেশে তিন চিল্লা (১২০ দিন) ও এক চিল্লা (৪০ দিন) ১১৫টি জামাত বের হয়। এর আগে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর খোলামুড়া মডেল টাউনের বিশাল মাঠে লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হয় দু’দিনের এই এজতেমা। বিভিন্ন আমল, দোয়া, জিকির ও তেলাওয়াতের সঙ্গে সঙ্গে তবলীগের সাথীরা জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আশপাশের মুসল্লিরা এসে এজতেমা মাঠে জুমার নামাজে আদায় করেন। এ যেন লাখ লাখ মুসল্লির মিলন মেলায় পরিণত হয়। জুমার পরে বয়ান করেন কাকরাইলের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল্লাহ (দাঃ বাঃ)। যেখানে স্থানীয় লোকজনের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।
×