ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ন্যায়বিচারের আশ্বাস

খাশোগির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন যুবরাজ

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

খাশোগির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন যুবরাজ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে জামাল খাশোগির মুত্যুর পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবে চলমান বিনিয়োগ সম্মেলনে বুধবার বিকেলে তিনি বলেন, খাশোগির মৃত্যু দুঃখজনক। নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। ২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। সৌদি আরব খাশোগির নিখোঁজে ভ‚মিকার কথা বারবার অস্বীকার করে। তুরস্ক দাবি করে, কনস্যুলেটের ভেতরেই তাকে হত্যার পর কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) রাতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটি। খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের এসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারছে না আন্তর্জাতিক বিশ্ব। একাধিক মার্কিন সিনেটরের দাবি, যুবরাজ তার সমালোচক ওই সাংবাদিকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সৌদি রাজদরবারের একজন প্রিন্সও একই অভিযোগ তুলেছেন। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে অসমর্থিত সূত্রে বলা হয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা আছে। খাশোগি হত্যার নির্দেশ যিনি দিয়েছেন, তাকেও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তুর্কী প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। এছাড়া অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের বিরুদ্ধে শুরুতে নমনীয় থাকলেও এরই মধ্যে কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এ হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের জঘন্যতম গুম বলে আখ্যা দেন তিনি। একই দিনে সৌদি যুবরাজের সম্ভাব্য সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে একমত হয়েছেন ট্রাম্প। হত্যাকাণ্ডের পর জনসমক্ষে কোন বক্তৃতা দেননি যুবরাজ। বুধবার বিকেলে এই সম্মেলনেই প্রথম কথা বললেন তিনি। খাশোগির হত্যাকাণ্ডকে অত্যন্ত ঘৃণিত অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরাধীর সাজা হবেই। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। সৌদি আরব ও তুরস্ক একযোগে কাজ করবে।’ সৌদি যুবরাজ বলেন, খাশোগির মুত্যুর ঘটনায় তুরস্কের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতি হবে না। আমরা রহস্য উদ্ঘাটনে তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা করব।’ যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসিত জামাল খাশোগি সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। বিশেষ করে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার পরিকল্পনার বিরোধী ছিলেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্ট ছাড়াও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলোতে কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করতেন খাশোগি। তিনি সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন।
×