ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বছরে বিক্রি করেন ২ লাখ টাকা কেঁচো সার

গফরগাঁওয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি করে স্বাবলম্বী আবুল হোসেন

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২০ অক্টোবর ২০১৮

  গফরগাঁওয়ে কম্পোস্ট সার তৈরি করে স্বাবলম্বী আবুল হোসেন

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও থেকে ॥ মাটির প্রাণ হলো জৈব প্রদার্থ। দীর্ঘদিন ধরেই এদেশে ফসল চাষে নানা ধরনের জৈব সার ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গর্তে পচানো জৈব সার, গাদা করে পচানো জৈব সার ইত্যাদি পদ্ধতিতে এদেশে দীর্ঘদিন ধরে জৈব সার তৈরি ও ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রচলিত এসব পদ্ধতির একটি বড় অসুবিধা হলো আবর্জনা ও গোবর পচতে ২-৩ মাস সময় লাগে। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে জৈব সার ব্যবহার করে জমিতে তা ব্যবহার করা অসুবিধাজনক। তাই সনাতন পদ্ধতি বাদ দিয়ে মাটির চারিতে করে কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন গফরগাঁওয়ের আবুল হোসেন। জানা যায়, উপজেলার টাঙ্গাব ইউনিয়নের আবুল হোসেন মেম্বার প্রায় দেড় বছর আগে বিশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে গোবর, চা পাতা, (জারমনি) কচুরিপানা লতা-পাতা ও ডিমের খোসা দিয়ে কেঁচো সার তৈরি করেন। আবুল হোসেন বলেন, প্রথমে ২০টি মাটির চারি দিয়ে আমি কেঁচো সার তৈরি শুরু করি। বর্তমানে আমার কেঁচো সারের খামারে দুইশত’র উপরে চারি আছে। মাসে বিশ মণ সার বিক্রি করতে পারি। এক মণ সারে বর্র্তমান বাজার দর অনুযায়ী ৬০০ টাকা। দুইশত চারিতে ১৬০০ কেজি সার মাসে উৎপাদন হয়। এক মাসে ২৪ হাজার টাকার সার বিক্রি করতে পারি। ডিমের খোসাসহ কেঁচো সার তৈরি করতে মাসে এক হাজার টাকা খরচ হয়। নিজের এলাকার চাহিদা মিটিয়েও পার্শ্ববর্তী উপজেলা নান্দাইল, পাকুন্দিয়া, ভালুকা, ত্রিশাল আমার এই কেঁচো সার বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছি। আমার এ কাজে সফলতার জন্য উৎসাহ দিয়েছে উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম মন্ডল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল বলেন, আবুল হোসেনের মতো এলাকার শিক্ষিত বেকার যদি এই কাজে এগিয়ে আসে বা আগ্রহী হয় তবে আমরা সহযোগিতা করব।
×