ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্যান্সার প্রতিরোধে চমক

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১১ অক্টোবর ২০১৮

ক্যান্সার প্রতিরোধে চমক

শহরের ঘিঞ্জি এলাকায় আর পাঁচটা বাড়ির মতোই সাদামাটা একটা বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর জঙ্গী। যাকে অনেক দিন ধরে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাড়িগুলো একে অন্যের গায়ে লাগানো। পাচিলটাও শেয়ার করেছে একে অন্যের সঙ্গে। ফলে কিছুতেই ওই জঙ্গীকে পাকড়াও করতে পারছে না তারা। গুলি চালালে আশপাশের বাড়ির ক্ষতি হতে পারে। জঙ্গীটি ঠিক কোন বাড়িতে আস্তানা গেড়েছে, সেটাও পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না। তাই আশপাশের কোন বাড়িটার মধ্যে দিয়ে গিয়ে জঙ্গীর বাড়িটায় ঢোকা যাবে, পুলিশ বা সেনা সদস্যরা সেটাও বুঝতে পারছেন না। শরীরের ক্যান্সার কোষ (টিউমার)-এ ‘আর্মি অপারেশন’ চালানোর ক্ষেত্রেও অসুবিধাটা হয় এমনই। ক্যান্সারে কাবু কোষকে মারতে গিয়ে সুস্থ, স্বাভাবিক কোষও মারা যায়। গুরুতর জখম হয়। সেই অসুবিধা দূর করার একটি অভিনব উপায় খুঁজে বের করেছেন ভারতের বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের (আইআইএসসি) ন্যানো সেন্টার এ্যান্ড ফিজিক্সের এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অম্বরীশ ঘোষ ও তার সহযোগীরা। সেই গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এ বছর পদার্থবিজ্ঞানে ভাটনগর পুরস্কার পেয়েছেন অম্বরীশ। পাঁচ বছর আগে তার বড় ভাই আইআইএসসির কমডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্সের অধ্যাপক অরিন্দম ঘোষও পেয়েছিলেন ভাটনগর পুরস্কার। অম্বরীশের কৃতিত্ব, তিনি টার্গেটেড ক্যান্সার থেরাপির ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা মেটানোর উপায় দেখিয়েছেন। যা সহযোগীদের নিয়ে অম্বরীশ পুরোপুরি সফলভাবে করে দেখিয়েছেন ইঁদুরের ওপর। যার পরের ধাপ মানুষের ওপর পরীক্ষা বা হিউম্যান ট্রায়াল। আসলে টার্গেটেড ক্যান্সার থেরাপিতে একেবারে সরাসরি ক্যান্সারে কাবু কোষ বা টিউমারে পাঠানো হয় ওষুধ। যাতে রক্তের মধ্যে দিয়ে টিউমার কোষে পৌঁছনোর রাস্তায় তা পথ ভুলে না চলে যায় সুস্থ, স্বাভাবিক কোষে। বিশ্বের নানা প্রান্তেই চালু রয়েছে এই ক্যান্সার থেরাপি। কিন্তু এই থেরাপিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধ টিউমারে না গিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক কোষে পৌঁছায়। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার ঘটনাই বেশি ঘটে। ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় সুস্থ, কোষের ক্ষতি হয়। আনন্দবাজার পত্রিকা
×