ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাসুলিয়া বিল

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য থৈ থৈ পানি, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৯ অক্টোবর ২০১৮

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য থৈ থৈ পানি, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো

ইফতেখারুল অনুপম ॥ নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাসুলিয়া বিল। এখানে বেড়াতে এলে দর্শনার্থীদের মন জুড়িয়ে দেয় সৌন্দর্যের রানী বলে খ্যাত ‘হিজল গাছ’। এখানে এই গাছের সঙ্গে হয়েছে জলের মিতালি। সে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। চারদিকে থৈ থৈ পানি, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো যেন এক এ্যাডভেঞ্চার। সড়ক ঘেঁষে পানির থৈ থৈ ও বিলের মাঝখানে হিজল গাছ। এ যেন প্রকৃতির অনিন্দ্য সুন্দরের সমাবেশ। টাঙ্গাইল শহর থেকে বাসুলিয়া বিলের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। টাঙ্গাইল থেকে বাসাইল পৌঁছলে সখীপুর সড়ক ধরে মাত্র তিন কিলোমিটার পার হলেই বাসুলিয়া বিল। সখীপুর যাওয়ার সময় হাতের ডান দিকে বিল। বিশাল চাপড়া বিলের পূর্ব দক্ষিণাংশে দাঁড়িয়ে আছে ভাসমান হিজল গাছ। সড়কে দাঁড়ালে দক্ষিণের জলরাশি ছুঁয়ে আসা মিষ্টি হাওয়া যে কারো গা জুড়িয়ে দেয়। প্রথম দিকে লোকজন এখানে দাঁড়িয়ে ঢাকার আশুলিয়া বাঁধের দক্ষিণে অনিন্দ্য সুন্দর জল-হাওয়ার সঙ্গে এই স্থানকে তুলনা করত। তখন স্থানীয়রা চাপড়া বিলের কিনারাকে বাসাইলের নামের সঙ্গে মিল রেখে বাসুলিয়া বলে প্রকাশ করে। সেই থেকে সময়ের পরিবর্তনে লোকমুখে স্থানটি বাসুলিয়া নামে পরিচিতি পায়। অনেকের ধারণা এই হিজল গাছটির জন্ম এখানে নয়। প্রাচীন যুগে গাছটি এসেছিল আসাম রাজ্য থেকে। ইতোমধ্যে এই বাসুলিয়া বেড়ানোর জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলায় আর বিশেষ কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসেবেই এই বাসুলিয়াকে বেছে নিয়েছেন এ এলাকার মানুষ। শুধু এ এলাকার লোকজন নয় বিভিন্ন জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা আসে এই বাসুলিয়ায়। প্রতি বছর বর্ষার সময় এমন মনোরম পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে তাই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসে পরিবার-পরিজন নিয়ে। প্রতিদিন এই এলাকায় লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। নৌকায় উঠতেও সিরিয়াল দিতে হয় দর্শনার্থীদের। বন্ধের দিনগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় থাকে বাসুলিয়া বিলে। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসা পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরে দেখা হয়ে যায় অনেকেরই। ফলে এই বাসুলিয়াতে আসা মানুষের ভিড় এক ধরনের মিলন মেলায় পরিণত হয়। দর্শনার্থীদের খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য এ এলাকায় বসে অস্থায়ী দোকান। এছাড়াও স্থায়ীভাবে রয়েছে কয়েকটি ফাস্ট ফুডের দোকান। বাসুলিয়াকে আরো সৌন্দর্যম-িত করতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও সড়ক ঘেঁষে দর্শনার্থীদের বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চ ও একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এদিকে দর্শনার্থীরা বাসুলিয়ায় সড়ক ঘেঁষে আরও সৌন্দর্য বর্ধনের দাবি জানিয়েছেন।
×