স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী চক্রের হোতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মহিদুল কবির লিমন (২৬), সারওয়ার হোসেন বিপ্লব (২৯), সাদ্দাম হোসেন (২৫), মাসুদ (৩০), উজ্জল রবি দাস (২৩) ও প্রশ্ন নেয়া রিফাত সরকার (১৯), ফয়সাল আহমেদ (১৮), মোস্তাকিন ফুয়াদ (১৯), আবু সাঈদ (১৮), ইশা আলম (২১) ও তারেক হাসান (১৯)। এ সময় প্রশ্ন সরবরাহকারী পাঁচজনের কাছ থেকে এক কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ১২টি চেক, মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ৯১টি প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড, ১৫টি ট্রান্সক্রিপ্ট ও প্রশংসাপত্র, পাঁচ সেট ভুয়া প্রশ্ন, ১৬টি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ কাইয়ুমুজ্জামান খান এ তথ্য দেন ।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, আটককৃত প্রশ্ন সরবরাহকারী পাঁচজনই বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। রাজধানীর ফার্মগেট, পান্থপথ, কল্যাণপুর, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সেসব কোচিং সেন্টারের শাখা রয়েছে। তারা বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার আগে ভুয়া প্রশ্ন প্রণয়ন করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রশ্ন সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে অগ্রিম চেক, একাডেমিক কাগজপত্র নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেন। তারপর চক্রটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে। চক্রটি অগ্রিম চেক ও একাডেমিক কাগজপত্র নিজেদের জিম্মায় নিয়ে অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায় করত। তিনি বলেন, মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও সামনে আরও ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। তাই আমরা চাই কোন ছাত্র এবং অভিভাবকরা যেন এসব প্রলোভনের ফাঁদে না পড়েন। এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ কাইয়ুমুজ্জামান বলেন, এ চক্রের সঙ্গে যদি সংশ্লিষ্ট কোচিং সেন্টার জড়িত প্রমাণ হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুয়া এসব প্রশ্নের উৎসের বিষয়টিও তদন্তের আওতায় রয়েছে।