ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল শুরু

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৫ অক্টোবর ২০১৮

রাজধানীতে হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে তিন দিনের হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৮। বৃহস্পতিবার দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন। গুলশানের খাজানা গার্ডেনিয়ার গ্র্যান্ড হলে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে আগামী ৬ অক্টোবর। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সকলের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এ ফেস্টিভ্যাল যৌথভাবে আয়োজন করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন(এসএমই ফাউন্ডেশন) ও এ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশ (এএফডিবি)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন এএফডিবির সভাপতি মানতাশা আহমেদ। তাঁত শিল্প প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, আদিকাল থেকেই এ শিল্প প্রসিদ্ধ। ব্রিটিশ শাসনামলে যন্ত্রের প্রভাবে শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পটি এখন সরকারের সুনজর পাচ্ছে। তিনি বলেন, এই শিল্পের বিকাশে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই শিল্পের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতে হলে এই শিল্পে বৈচিত্র বাড়াতে হবে। কাজটাকে আরও রিফাইন করতে হবে। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে হাতের কাজ এত কমমূল্যে বিক্রি হয় না। মেশিনের কাজে আমরা বেশি দিচ্ছি, আর হাতের কাজে আমরা কম দিচ্ছি। একজন শিল্পী শ্রম দিয়ে, মেধা দিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করছে, আর আমরা তার যথার্থ মূল্য দিচ্ছি না। যথার্থ মূল্যায়নের মানসিকতা আমাদের এখনও হয়নি। যথার্থ না হলেও অনেক পরিবর্তন হয়ছে। অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন একেবারেই এসবের মূল্যায়ন ছিল না, এখন অনেকটা মূল্যায়ন হচ্ছে। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এ শিল্পের বিকাশের জন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট সকলের বসা দরকার। সকলের এগিয়ে আসা দরকার। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ ঐতিহ্যবাহী তাঁতপণ্য নিয়ে আয়োজিত এ ফেস্টিভালে প্রদর্শন করা আবহমান বাংলার বিষয়গুলো হচ্ছে- জামদানি, নক্সীকাঁথা, মিরপুরের বেনারসী, টাঙ্গাইলের তাঁত, সিরাজগঞ্জের তাঁত, মণিপুরী তাঁত ও রাঙ্গামাটি তাঁত। ফেস্টিভ্যালে মোট ৪০টি স্টল রয়েছে। তাঁতপণ্যভিত্তিক বিভিন্ন এ্যাসোসিয়েশন, ডিজাইনার ও তাঁতীসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ এই ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছেন। ফেস্টিভ্যালে স্টলগুলোর মধ্যে সাতটি স্টলে রয়েছে দেশের খ্যাতনামা সাতজন ডিজাইনারের তৈরি করা সাতটি বিষয়ের বহুমাত্রিক তাঁতপণ্য। অন্যান্য স্টলে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সুদক্ষ তাঁতী ও তাদের বুনন করা তাঁতপণ্য। উদ্বোধনের পর অর্থমন্ত্রী ও সংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ঘুরে তাঁতপণ্য দেখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের বক্তব্যের পর- বিপ্লব সাহা, কুহু প্লামন্দন, মানতাশা আহমেদ, নওশীন খায়ের, রেনুকা চাকমা, শাহেদা খাতুন, তাহসিনা শাহীনের ডিজাইন করা তাঁতপণ্যের ফ্যাশন শো-তে অংশ নেন তরুণ-তরুণীরা।
×