ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কোটা পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্ট বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ৩ অক্টোবর ২০১৮

কোটা পর্যালোচনা কমিটির রিপোর্ট বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে সমাবেশ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ সরকারী চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে কোটা বাতিলের লক্ষ্যে কোটা পর্যালোচনা কমিটির দেয়া প্রতিবেদন বাতিলসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করে সেখান থেকে স্মারকলিপি জমা দিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের নেতারা। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন ও অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন বলেন, সচিব কমিটি রিপোর্ট দিতে দুই-তিন মাস সময় নিল। কারো সঙ্গে আলাপ করল না। হঠাৎ করে ঘোষণা দিল কোন কোটা থাকবে না। সচিব কমিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের অপসারণ করতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তাদের প্রতিহত না করে আমরা ঘরে ফিরব না। আমার বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান হয়, এমন কিছু এই সরকার করবে না। অধ্যাপক ড. আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেছেন, কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত আবেগবশত ও সংবিধানসম্মত নয়। সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনের মূল টার্গেট ও মাথাব্যথা ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটা। রাষ্ট্র যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে চায়, তাহলে সম্মানের সঙ্গেই সম্মান দিতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, কোটা পর্যালোচনা কমিটির কোটা বাতিলের সুপারিশ আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা প্রত্যাখ্যান করছি। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের ডাকা এই সমাবেশ থেকে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো, সামাজিক মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও বংশধরদের চিহ্নিত করে সরকারী সব চাকরি থেকে বহিষ্কার, নাগরিকত্ব বাতিল ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচর্যের বাসভবনে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
×