ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

আওয়ামী লীগ তো আগেই জনগণকে ছেড়েছে, ঐক্যের কী আছে?

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 আওয়ামী লীগ তো আগেই জনগণকে ছেড়েছে, ঐক্যের কী আছে?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাত্র ২২ দিনে সারাদেশে বিএনপির ৩ লাখ ২৫ হাজার নেতাকর্মীর নামে বিভিন্ন মামলা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় ঐক্য হয় না আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ তো আগেই জনগণকে ছেড়েছে। তাদের সঙ্গে ঐক্যের কি আছে ? আর যদি ঐক্যের দরকারই হয়, তাহলে যে কাজগুলো করলে ঐক্য করা যায়, সে কাজগুলো করুন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করুন। সংসদ ভেঙ্গে দিন। আর খালেদা জিয়ার মুক্তি তো দিতেই হবে। তাহলে বুঝব যে আপনাদের বোধোদয় হয়েছে। রিজভী বলেন, গায়েবি মামলার ছড়াছড়িতে সারাদেশে বিরাজ করছে আতঙ্কের পরিবেশ। সরকার যেন জনগণের ওপর প্রেতাত্মাসূলভ আচরণ করছে। মূলত এ দেশে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বরকত নেই। আছে শুধু মিথ্যা মামলার বরকত। বিরোধী মত ও শক্তিকে কষ্ট দেয়া ও জুলুম করাই যেন আওয়ামী লীগের ধর্ম। রিজভী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পর্যুদস্ত করার জন্য সরকার এহেন অমানবিক পদ্ধতি নেই, যা তারা ব্যবহার করে না। আমরা এরই চরম প্রকাশ দেখতে পাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় দীর্ঘদিন পর অধিকতর তদন্তের নামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়ানোর ঘটনায়। এর আগে দু’বার চার্জশীটে তারেক রহমানের নাম ছিল না। শুধু প্রতিহিংসা পূরণের জন্য টার্গেট করেই সম্পূরক চার্জশীটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে বেপরোয়া ক্ষমতার আস্ফালনে আইন আদালতকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। রিজভী বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য করার পর সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থে এস কে সিনহা সরকারের আচরণের যে ঘটনাগুলো উল্লেখ করেছেন তাতে দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগতের জন্যই সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর এটি করতে গিয়ে বিশ্বদরবারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলঙ্কিত হয়েছেন। এই ঘটনা বিচার বিভাগের ওপর আধিপত্য বিস্তার। রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দিতে যাচ্ছেন। গণতন্ত্রের মুখোশটুকু ছুঁড়ে ফেলে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন মুছে দিয়েছেন। সরকারী গাড়ি ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনরা কিভাবে নির্বাচনী প্রচার চালায় এমন প্রশ্ন করে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের মন্ত্রীরা না আইন মানে, না কানুন মানে। তারা মনে করেন দেশটা তাদের জমিদারী। আর সরকারী গাড়ি তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। কারণ তাদের তো জবাবদিহি করতে হয় না। কারণ, দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের করায়ত্বে। তাই তারা ভয় পাবে কাকে ? এ কারণে সরকারী গাড়ি নিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেব, নির্বাচনী প্রচারের গান গাইতে শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ জনগণকে থোরাই তোয়াক্কা করছে। রিজভী বলেন, কী দরকার জনগণকে তোয়াক্কা করার? আপনারা তো ঘোষণা দিয়ে দিলেই পারেন। কারা আপনাদের প্রার্থী, কারা বিজয়ী হয়েছেন।
×