ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেট কারাগার থেকে মুক্ত আলোয় ফিরল ১৪২ জন

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  সিলেট কারাগার থেকে মুক্ত আলোয় ফিরল ১৪২ জন

স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ মানবিক উদ্যোগের ফলে কারাগারের অন্ধকার থেকে মুক্ত আলোয় ফিরে এলো ওরা ১৪২ জন। লঘু অপরাধে তারা কারাগারে দিন কাটাচ্ছিল। বাংলাদেশে একইদিনে কোন কারাগার থেকে এত বিপুলসংখ্যক কয়েদির মুক্তি পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম বলে জানা গছে। জানা যায়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগ অনুসারে, যারা ছোটখাটো তথা লঘু অপরাধ করে কারাগারে আছেন, তারা যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও ভাল পথে চলার অঙ্গীকার করেন, তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রথম বাস্তবায়ন ঘটল সিলেটে। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলার ১৪২ কয়েদি মুক্তি পেয়েছেন। এরা লঘু অপরাধে কারাভোগ করছিলেন। রবিবার বিকেলে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, লঘু অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন আসামিকে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়। এসব আসামি মেট্রো আইনে, চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি প্রভৃতি অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন। আদালতে এসব আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার অঙ্গীকার করেন। আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে সকল আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। কিছু আসামির সাজার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে এসব কয়েদির মুক্তি পাওয়ার আগে সিলেট কারাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা ও সেবা) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘এই ১৪২ আসামি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আদালত তাদের জামিন প্রদান করে। অনেকে মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। দেশে এই প্রথম কোন কারাগারের এতজন আসামি একসঙ্গে জামিন লাভ করলেন। তিনি বলেন, লঘু অপরাধে কারাগারে থাকা হাজতিরা ব্যক্তি জীবনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়, তার পরিবার ভোগান্তি পোহায়। আগামীতেও এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
×