ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে তিন যুবক হত্যায় পুলিশের মামলা

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রূপগঞ্জে তিন যুবক হত্যায় পুলিশের মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৫ সেপ্টেম্বর ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহরের আলমপুরা এলাকার ৯নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নিচ থেকে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। পরস্পর যোগসাজশে হত্যা করে গুম করার অপরাধে রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সফিউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শনিবার দুপুরে মামলাটি করেন। বাদী সফিউদ্দিন মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি স্পেশাল পাঁচ ডিউটি করার সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে লোকমুখে জানতে পারেন পূর্বাচল উপশহরের আলমপুরা এলাকার ৯নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নিচে পাকা করিডরের ওপর তিনটি অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ পড়ে আছে। পরে আরও পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান ওই তিনটি লাশ মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে লাশগুলো উলট-পালট করে দেখা যায়, ওই লাশগুলোর বুকের বাম পাশে, বুকের পাঁজরে, কনই উপরে, পিঠে ঘারের নিচে, পিঠের ডান পাশের কোমরের উপরে, বাম পায়ের রানের হাঁটুর উপরে, বুকের মাঝখানে, মাথার ডান পাশে, পিঠে, মাথার ডান পাশের কপালে, মাথার পেছনের মাঝ বরাবর গুলির জখম পরিলক্ষিত পাওয়া যায়। তিনজনের মধ্যে একজনের প্যান্টের পকেট থেকে ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে প্রথম অবস্থায় এলাকার লোকজন তাদের চিনতে না পারায় ফেসবুক, ইমো ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এর মধ্যেই ওই তিনজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়। তারা হলো ঢাকার মহাখালীর নিকেতন বাজার এলাকার মৃত শহিদুল্লাহর ছেলে সোহাগ (৩২), ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানার গোরেলা এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শিমূল আজাদ ও মুন্সীগঞ্জের টুঙ্গিবাড়ির থানার পাইকপাড়া এলাকার মৃত আঃ ওহাবের ছেলে নূর হোসেন বাবু। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ধারণা করা হচ্ছে লাশ উদ্ধারের পূর্বে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে বা ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পূর্বাচল উপ-শহরের আলমপুরা এলাকার ৯নং সেক্টরের ১১নং ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে ৩০২/২০১/৩৪ ধারা অপরাধ করেছে। ঘটনার পর মৃত ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ ময়না তদন্তের জন্য কার্যসম্পাদক করা হয় কিন্তু মৃত ব্যক্তিদের পক্ষে কেউ কোন অভিযোগ দায়ের না করায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এসআই সফিউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত সোহাগের বিরুদ্ধে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলাসহ ৪টি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়া শিমুল আজাদ ও নূর হোসেন বাবুর বিরুদ্ধেও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
×