ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জসীম উদ্দীন

সন্তানদের কথা ভাবুন

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সন্তানদের কথা ভাবুন

শত শত বছর ধরে বিবাহকে অভঙ্গনীয় মনে করা হলেও বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই বিবাহ বিচ্ছেদকে অনুমোদন করে। গত কয়েক দশকে বিশ্বব্যাপী বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। পরিসংখ্যান থেকে দেখতে পাচ্ছি, বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনকারীদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। এর জন্য তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিই দায়ী। পেশাগত উন্নয়নের কারণে নারীরা পরিবারের চেয়ে পেশার গুরুত্ব বেশি দিচ্ছে। আর্থসামাজিক নিশ্চয়তা থাকার কারণে পরিবারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই গ্রহণ করছে। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীদের পক্ষ থেকে সাড়া বেশি পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত কলহ-বিদ্রোহের ভিতরে থাকার চেয়ে অনেকে ডিভোর্সকে সমাজের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও ঐ পরিবারের সন্তান সন্তুতি বিচ্ছেদের এর বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। তবে এ প্রভাবের পরিমাণ– বিচ্ছেদ পূর্বকালীন পিতামাতার দ্বন্দ্ব, সে সময় তাদের বয়স, ভাইবোন আছে কি না? দাদা- দাদি এবং অন্যান্য আত্মীয়স্বজনের উপস্থিতির ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে বিচ্ছেদের পর সংশ্লিষ্ট পরিবারের ছেলেমেয়েরা ব্যাপক মানসিক উদ্বেগে ভোগে। এসব পরিবারের বিদ্যালয় পূর্বের ছেলেমেয়েরা হতচকিত ও ভীত হয়ে পড়ে এবং বিচ্ছেদের জন্য নিজেদের দায়ী ভাবতে শুরু করে। একটু বয়স্ক ছেলেমেয়েরা সবকিছুই বুঝতে পারে। তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তাই তাদের জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থাদি ও গৃহসংস্থান, শিশু পরিষেবার সুযোগ বৃদ্ধি করা দরকার যাতে তারা অকালে ঝরে না পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×