ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধান আসামি সাইফসহ গ্রেফতার আট

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধান আসামি সাইফসহ গ্রেফতার আট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দক্ষিণখানে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরধরে কিশোর মেহেদী হাসান শুভকে (১৭) খুন করা হয়েছে। এ হত্যায় জড়িত প্রধান আসামি সাইফসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো, মনির, আরাফাত, সাইফুল, মেহেরাব, আপেল, সিফাত ও সোহেল। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান জানান, শনিবার রাতে সিলেট ও দিনাজপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, গ্রেফতারের সময় প্রধান আসামি সাইফের কাছ থেকে একটি সুইচ গিয়ার ছুরি উদ্ধার করা হয়। ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দক্ষিণখানের চেয়ারম্যানপাড়ার নগরিয়াবাড়ি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বড়-ছোট দ্বন্দ্বে এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে ‘শান্ত’ ও ‘আরাফাত’ গ্রুপের মধ্যে প্রায়ই হাতাহাতি ও মারামারি হতো। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী খুন হয়। দক্ষিণখানের চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় কিশোরদের বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় আছে। এদের মধ্য জিম-জিয়াদ গ্রুপ, শান্ত গ্রুপ , আরাফাত গ্রুপ, কামাল গ্রুপ ও আনছার গ্রুপ অন্যতম। এই গ্রুপগুলো ওই এলাকায় চাঁদাবাজি, ইভ টিজিং, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, ঈদ-উল-ফিতরের ১০ থেকে ১৫ দিন আগে ‘আরাফাত’ গ্রুপের সদস্য কাউসার ওরফে কডা ‘শান্ত’ গ্রুপের হুন্ডা মেহেদীকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করে। ওই ঘটনার রেশধরে হুন্ডা মেহেদী ও মেহেদী হাসান শুভ কডাকে মারধর করে। পরে ১৮ আগস্ট মেহেদী হাসান শুভসহ ‘শান্ত’ গ্রুপের সদস্যরা ‘আরাফাত’ গ্রুপের সাইফকে মারধর করে। ৩১ আগস্ট মেহেদী এবং নাজমুল ‘আরাফাত’ গ্রুপের তৌকিরের বাঁ হাতের কব্জি ও বুকের বাঁ পাশে সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
×