ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উয়েফা ন্যাশন্স লীগে লুক্সেমবার্গ-বেলারুশ-সুইজারল্যান্ডের বড় জয়

ইংল্যান্ডকে হারাল স্পেন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইংল্যান্ডকে হারাল স্পেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জয় দিয়েই উয়েফা ন্যাশন্স লীগের মিশন শুরু করেছে স্পেন, সুইজারল্যান্ড, বেলারুশ, গ্রীস এবং লুক্সেমবার্গের মতো দলগুলো। শনিবার ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোজয়ী স্পেন ২-১ গোলে হারিয়েছে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে। গ্রীস ১-০ ব্যবধানে জিতেছে এস্তোনিয়ার বিপক্ষে। লুক্সেমবার্গ ৪-০ গোলে হারিয়েছে মোলদোভাকে। এদিন বড় জয় পেয়েছে বেলারুশ এবং সুইজারল্যান্ডও। নিজেদের মাঠে বেলারুশ ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে সান মারিনোকে। দিনের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ড ৬-০ গোলে রীতিমতো উড়িয়েই দিয়েছে তুলনামূলক খর্বশক্তির দল আইসল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলিতে পিছিয়ে পড়েও দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে স্পেন। এর মাধ্যমে লুইস এনরিকের অধ্যায় বেশ ভালভাবেই শুরু করলো লা রোজারা। স্পেনের জয়ের রাতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ডের জন্য ঘরের মাঠে এই পরাজয় ছিল চরম হতাশার। মার্কোস রাশফোর্ডের গোলে ম্যাচ শুরুর ১১ মিনিটে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেলেও দুই মিনিট পর সাওল নিগুয়েজ সমতায় ফেরান। আর ৩২ মিনিটে দলের জয় নিশ্চিত করেন রড্রিগো মোরেনো। তিন বছরের মধ্যে এদিনই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিলেন ইংলিশ ডিফেন্ডার লুক শ। কিন্তু ৫৩ মিনিটেই বড় আঘাত পান তিনি। দানি কারভাহালের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দলের তারকা এই ডিফেন্ডারের অনুপস্থিতিতে স্বাগতিকরা ম্যাচে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়। লুইস এনরিকের অধীনে স্প্যানিশরা পুরো প্রথমার্ধ জুড়েই বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে স্বাগতিকদের কাছে পরাজিত হয়ে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নেয় স্পেন। সেই হতাশা কাটিয়ে ওঠার জন্য এই জয়টা বেশ প্রয়োজন ছিল ইস্কো-রামোসদের। এর ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পরের ম্যাচে তারা যে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাঠে নামবে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের ১১ মিনিটে হ্যারি কেন থেকে বাম দিকে শ’ বল পেয়ে তা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ রাশফোর্ডের দিকে বাড়িয়ে দেন। এই পাস থেকে ডেভিড ডি গিয়াকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি রাশফোর্ড। দুই মিনিট পর কারভাহাল রড্রিগোর দিকে বল বাড়িয়ে দেন। ডি বক্সের ভিতর রড্রিগোর কাট করা বলে সাওল প্রথম প্রচেষ্টায় জর্ডান পিকফোর্ডকে পাস কাটিয়ে বল জালে জড়ালে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। ইংল্যান্ডের থেকে বল ও পজিশনের দিক থেকে এগিয়ে থাকা স্পেন ম্যাচে এগিয়ে যেতে খুব একটা সময় নেয়নি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে থিয়াগো আলকানতারার কার্লিং ফ্রি-কিক থেকে রড্রিগো স্পেনকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে শ’ মাঠ ত্যাগ করলেও ইংল্যান্ড কাউন্টার এ্যাটাকের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। এই পরাজয়ের মাধ্যমে ২০০৭ সালের নবেম্বরের পর ওয়েম্বলিতে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হারের স্বাদ পেল ইংল্যান্ড। এদিকে স্পেনের কোচ হিসেবে শেষ আটজন কোচই প্রথম ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন। এনরিকেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন। শনিবার ন্যাশন্স লীগে সবচেয়ে বড় জয়টা পায় সুইজারল্যান্ড। নিজেদের মাঠে এদিন তারা স্বাগত জানায় আইসল্যান্ডকে। তুলনামূলক খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে গুনে গুনে ছয়বার বল পাঠায় স্বাগতিকরা। গোল ছয়টি করেন জুবায়ের, জাকারিয়া, শাকিরি, সেফেরোভিচ, আজেতি এবং মেহমেদি। সুইজারল্যান্ডের মতো বড় জয় পেয়েছে বেলারুশও। নিজেদের মাঠে বেলারুশরা সান মারিনোর জালে পাঁচবার বল জড়ায়। মোলদোভার জালে লুক্সেমবার্গ গোল দেয় চারটি। তবে জয়ের জন্য ঘাম ঝরেছে গ্রীস এবং ফিনল্যান্ডের। উভয় দলই এদিন জয় পায় প্রতিপক্ষের জালে একটি করে বল ঢুকিয়ে। গ্রীস হারায় এস্তোনিয়াকে আর ফিনল্যান্ড হাঙ্গেরিকে। অন্য ম্যাচে বসনিয়া হার্জেগোভিনা ২-১ গোলে হারায় নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডকে।
×