ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের আকাল

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের আকাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশীয় পেঁয়াজের অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ। প্রতিকেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ২৫-৩০ টাকা, অন্যদিকে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশীয় পেঁয়াজ। দেশীয় পেঁয়াজের এই দামে ভোক্তার অসন্তুষ্টি রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন জাতের পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত দেশী পেঁয়াজের দাম কমবে না। তাই আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজেই এখন ভোক্তার স্বস্তি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কোন ভোগ্য পণ্যের দাম না বাড়লেও ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩৫ টাকা। চড়া সব ধরনের ইলিশ মাছের দাম। ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের আকাল দেখা দিয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কাপ্তানবাজার, কাওরানবাজার, যাত্রাবাড়ীবাজার এবং ফকিরাপুলবাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে রাজধানীর বাজারগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। ভোক্তার আগ্রহ ছিল ইলিশ মাছ ও নতুন সবজির দিকে। শীতকালীন আগাম সবজি ও ইলিশ মাছের চড়া দামে ক্রেতার অসন্তুুষ্টি লক্ষ্য করা গেছে। দেশীয় জাতের পেঁয়াজের দাম নিয়ে অনেকে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। তারা বলছে, আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমলেও বাড়ছে দেশীটির। ঝাঁজ বেশি ও স্বাদ হওয়ার কারণে দেশী পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। অথচ এই চাহিদাকে পুঁজি করেই বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। কাওরানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবুল কালাম জনকণ্ঠকে বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমায় বাজার এখন স্থিতিশীল রয়েছে। বেশি দাম দিতে না চাইলে যে কেউ আমদানিকৃত পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। তিনি বলেন, আরও কয়েক মাস পর দেশীয় নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ওই সময় এমনিই পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। পেঁয়াজের পাশাপাশি ইলিশ মাছের দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতা। কাপ্তানবাজারের ইলিশ ক্রেতা নাজির জানান, এ বছর ইলিশের দাম কমছে না। অথচ এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। গত বছর এই সময়ে দাম এত কমছিল যে, অনেকে বেশি করে মাছ কিনে ফ্রিজে মজুদ করেছেন। সেই মাছ অনেকদিন পর্যন্ত খাওয়া হয়েছে। কিন্তু এই বছর ইলিশের দাম কমছে না। প্রতি ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বারো শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা। গত বছর এই সাইজের ইলিশ ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ওই বাজারের ইলিশ বিক্রেতা কবির হোসেন জানান, এ বছর ইলিশের সরবরাহ কম। মোকাম থেকে তেমন মাছ আসছে না। নদী ও সাগরে বেশি মাছ না ধরা পড়ায় এই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, মাছের সরবরাহ বাড়লে এমনিতেই দাম পড়ে যাবে। তবে এখনও সময় আছে, মৌসুম শেষ হয়ে যায়নি।
×