ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনেকে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে

মালয়েশিয়ায় আরও ৬৩৫ বাংলাদেশী কর্মী আটক

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মালয়েশিয়ায় আরও ৬৩৫ বাংলাদেশী কর্মী আটক

ফিরোজ মান্না ॥ মালয়েশিয়ায় গত এক সপ্তাহে পুলিশী অভিযানে বাংলাদেশী আরও ৬৩৫ কর্মী আটক হয়েছে। অভিযানের ভয়ে অনেকে গা ঢাকা দিয়ে আছে। কেউ কেউ জঙ্গলে রাত কাটাচ্ছেন। দেশটির পুলিশ প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, আটককৃতদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বর্তমানে দেশটিতে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। তবে অন্য ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে কর্মী নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে অচিরেই এ সমস্যা সমাধান করা হবে। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মোস্তাফার আলীর বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো খবর প্রকাশ করেছে, কোন অবৈধ অভিবাসীকে দেশটিতে স্থান দেয়া হবে না। অভিবাসন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে অভিযান অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে। অবৈধ অভিবাসী আটকের সংখ্যায় ইন্দোনেশিয়া বেশি। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে গত ১ জুলাই থেকে মেগা-থ্রি নামে অভিযান পরিচালনা করছে। মেগা থ্রি অভিযানের অংশ হিসেবে গত শক্রবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আরও ৬৩৫ বাংলাদেশী কর্মীকে আটক করা হয়েছে। নতুন আটকসহ বাংলাদেশের চার হাজারের বেশি কর্মী আটক হয়েছে। অভিযান চলমান থাকবে বলে ইমিগ্রেশন বিভাগ ঘোষণা দিয়েছে। অভিবাসন খাতে সব ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে আটক অভিযান কতদিন চলবে তা তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। রি-হিয়ারিং গ্রোগ্রামের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে মেগা-থ্রি নামে এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন পথে কয়েক লাখ অবৈধ বিভিন্ন দেশের নাগরিক প্রবেশ করেছে। অবৈধ এই ¯্রােত ঠেকাতে অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণ প্রক্রিয়া। এরপর ১৬ সালের ১৫ আগস্ট নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সর্বশেষ সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। এই সময় শেষ হওয়ার পরই দেশটির কর্তৃপক্ষ আটক অভিযান শুরু করেছে। এই কর্মসূচীর আওতায় অনেক অবৈধ কর্মী বৈধ হয়েছেন। যারা এ সুযোগ নিতে পারেননি তারা আর দেশটিতে বসবাস করতে পারবেন না। তাদের দেশে ফিরতেই হবে। পুলিশের হাতে আটক না হলেও তাদের দেশে ফিরতে হবে।
×