ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গার্মেন্টস কর্মী শিউলী হত্যা

মাস পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২৮ আগস্ট ২০১৮

মাস পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ২৭ আগস্ট ॥ ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও গার্মেন্টস কর্মী শিউলী হত্যার মূল আসামিকে তা এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে প্রকৃত অপরাধী চিহ্নিত না হওয়ায় চরম হতাশায় ভুগছে নিহত শিউলীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত ২৬ জুলাই সকালে একটি বাসযোগে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে চিৎকারের কিছুক্ষণ পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশ থেকে শিউলীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শিউলীর স্বামী শরীফ খান মির্জাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শিউলী মৃত্যুর ১৫ দিন পর গ্রামীণ শুভেচ্ছা পরিবহন নামের বাসসহ (নম্বর ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৩৬৩৭) বাসের চালক রুহুল আমীন শেখ রনি ও রনির ছোট ভাই বাসের হেলপার রানাকে গ্রেফতার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। ড্রাইভার রনি পুলিশের কাছে জবানবন্দী দেন তার বাসেই শিউলী হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ রনির ভাষ্য মতে আরিফ নামে শিউলীর এক সহকর্মীকে গ্রেফতার করে। বাসের মধ্যে শ্লীলতাহানির সময় শিউলীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিউলী মারা যান। মির্জাপুর থানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আফসার উদ্দিন খান এ তথ্য জানান। যে বাসে ঘটনা সংঘটিত হয় সে বাসটিও আটক করা হয়েছে বলে তিনি তথ্যে উল্লেখ করেন। কুমিল্লায় স্বপন হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৭ আগস্ট ॥ দেবিদ্বারের আলোচিত নাছরুল হাছান স্বপন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শফিকুর রহমান ওরফে শফিক নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকেলে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক হাবিবুর রহমান এ আদেশ দেন। নিহত স্বপন দেবিদ্বার উপজেলার লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল জলিল সরকারের মেঝ ছেলে। জানা যায়, নাছরুল হাছান স্বপন লক্ষ্মীপুর মধ্যপাড়ায় খুচরা ওষুধ বিক্রি ও ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করত। ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে ফেরার পথে স্বপনকে হত্যার উদ্দেশে দুর্বৃত্তরা গলায় ছুরিকাঘাত করে আহত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন নিহত স্বপনের পিতা আবদুল জলিল সরকার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
×