ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার পরিবহন চিত্র শীঘ্রই বদলে যাবে

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২১ আগস্ট ২০১৮

 ঢাকার পরিবহন চিত্র শীঘ্রই বদলে  যাবে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ নিরাপদ সড়ক ও মহাসড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে করণীয় সম্পর্কে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ঈদের পর থেকেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আভাস মিলেছে। তাছাড়া সোমবার থেকে রাজধানীতে ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে আরও কঠোর হয়েছে পুলিশ। আইন ভঙ্গকারীর ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয় যাই থাক, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পথচারীদের জন্য নিরাপদে রাস্তা পারাপার নিশ্চিত করা এবং রাস্তা পারাপারে ফুট ওভারব্রিজসহ আন্ডারপাস ব্যবহার না করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া ট্রাফিক আইন ও সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে সচেতন করতে ‘মা’ সমাবেশের আয়োজন করা হবে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ হরা হবে সচেতনতামূলক লিফলেট। গত শনিবার সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান। এ সব পরিকল্পনা সাত কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সিটি কর্পোরেশনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে। অভিভাবকের কাছ থেকে আইন মানার সম্মতিসূচক স্বাক্ষর নেয়া হবে ॥ অনুমোদিত পরিকল্পনা লঙ্ঘন করে নির্মিত ভবন এবং অনুমোদনের প্রাক্কালে পর্যাপ্ত পার্কিং দেখিয়ে পরবর্তীকালে পার্কিং জোন সীমিত করেছে, এমন বহুতল ভবন ও শপিং মলের ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ প্রহণের জন্য রাজউককে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা সম্পর্কিত এক উচ্চপর্যায়ের সভা থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, সভায় জানানো হয় যে নিরাপদ সড়ক ও মহাসড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের কর্মপরিকল্পনা জমা দিয়েছে। এ কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে করণীয় সম্পর্কে যথা শিগগির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের পরিকল্পনায় কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করা ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বিআরটিএ তাদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এদিকে, স্কাউটস এবং গার্ল গাইডস এ্যাসোসিয়েশনকে সম্পৃক্ত করে দেশের সকল শিক্ষার্থী ও আভিভাবকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অবহিত করার লক্ষ্যে ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্কাউটস ও গার্ল গাইডস এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিকট গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সাইন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ, পথচারী, গাড়ি/মোটরবাইক চালক, যাত্রী এবং যানবাহন মালিকের দায়িত্ব ও করণীয় সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে লিফলেটটির নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার সম্মতিসূচক স্বাক্ষর অভিভাবকদের নিকট হতে গ্রহণপূর্বক স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও লিফলেটটি দেশের সকল মসজিদে জু’মার নামাজের পূর্বে পড়ে শুনানো; শিক্ষক বাতায়নে লিফলেটের তথ্য প্রকাশ; প্রাত্যহিক সমাবেশে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অবহিতকরণ; স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে গাড়ি চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ; ‘মা’ সমাবেশে ট্রাফিক আইন বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। এই সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভায় ৮টি বিভাগের বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং স্কাউট ও গার্ল গাইডস এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের যুক্ত করা হয়। বিআরটিএ’র সতর্ক নোটিস ॥ সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। এ সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে, এখন থেকে চলমান অবস্থায় বাসের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। স্টপেজ ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না। বাসের দৃশ্যমানস্থানে চালক ও সহকারীর লাইসেন্স ও মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করতে হবে। মহাসড়কে চালক ও যাত্রীদের জন্য সিটবেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরিবহন কোম্পানিগুলোকে স্ব-স্ব পরিবহনে সিটবেল্ট সংযোজন করার নির্দেশ দিয়েছে বিআরটিএ। এ ছাড়া অন্যান্য সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে, মোটরসাইকেলে দুইজন আরোহীর প্রত্যেকের হেলমেট বাধ্যতামূলক। এই আদেশ যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিআটিএ সচিব শওকত আলী। তিনি বলেন, যে কোন মূল্যে সড়ককে নিরাপদ রাখতে হবে। মানুষ আইন মানলেই সড়ক অনেকটা নিরাপদ হয়ে যাবে। তাছাড়া পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো নতুন নতুন প্রযুক্তি ও নিয়মের বাস্তবায়ন জরুরী বলেও মনে করেন তিনি। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের দেয়া পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না কার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যমান ট্রাফিক আইনে সবকিছু বলা আছে। কিন্তু পথচারী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা আইন না মানার কারণে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সবার আগে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ জরুরী। তিনি জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশ কিছু প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ, সিটি ক্যামেরার মাধ্যমে আইনভঙ্গকারী পরিবহন ও চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ অর্থাৎ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া পুলিশের দুর্নীতি ঠেকাতে মামলার ৩০ ভাগ অর্থ ট্রাফিক কনস্টেবলসহ সংশ্লিষ্টদের দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে পুরো অর্থ রাজস্ব খাতে জমা হতো বলে জানা গেছে। মতিঝিল জোনে কাজ করা এক ট্রাফিক কনস্টেবল জানান, আমাদের কাছে ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার নির্দেশ এসেছে। তিনি বলেন, এখন থেকে আইন ভঙ্গকারীদের কোন ছাড় নয়। যত প্রভাবশালী ব্যক্তিই হোক না কেন ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ রয়েছে। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি যে গাড়ি চালানোর জন্য লাইসেন্স নিয়েছেন এর বাইরে অন্য কোন গাড়ি চালাতে পারবেন না। মোটরসাইকেলে দুই জনের বেশি আরোহী নয়। প্রত্যেকের হেলমেট বাধ্যতামূলক। তিনি জানান, আমাদের কাছে অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ে নতুন কোন নির্দেশনা না এলেও কঠোরভাবে আইন বাস্তবায়নের চাপ আছে। আমরা সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি। সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীর দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর আন্দোলনে নামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক সপ্তাহ আন্দোলনের কারণে অচল হয়ে যায় রাজধানী ঢাকা। সতর্ক হয়ে যান সরকারের সর্বোচ্চ কর্তাব্যক্তিরা। এই প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গবর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের সভায় ‘ঢাকা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন’ নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় নিরাপদ সড়ক ও মহাসড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগকে চলমান কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়। পরিবহন ব্যবস্থাপনার এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে ২০ আগস্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিআরটিএ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব দেয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে সোমবার থেকে কাজ শুরু করে পুলিশ ও বিআরটিএ। তবে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। গত শনিবার ট্রাফিক ব্যবস্থার ত্রুটি খুঁজতে ও রাস্তায় নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। কথা বলেন পথচারীসহ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে। পথচারীদের রাস্তা পারাপারে ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোতে ওঠে আসে তাদের পর্যবেক্ষণে। শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমন্বয় কমিটি গঠন ॥ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সার্বিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মনিটরিং করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে প্রধান করে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে তা তদারকি করবে। সমন্বয় কমিটির সঙ্গে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, গণপূর্ত, ডিটিসিএ, রাজউক, বিআরটিএ, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। নজিবুর রহমান জানান, আগামী একমাস পর আবারো দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে চলমান সিদ্ধান্ত কতটুকু কার্যকর হয়েছে তা পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ২০ তারিখ থেকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু। স্বল্প মেয়াদী যেসব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব তা বাস্তবায়ন শুরু হবে। কেউ যেন কোন কাজে গাফিলতি না দেখান। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে আশাকরি রাজধানীর চেহারা বদলে যাবে। সূত্রে জানা গেছে, নগর ভবনে আয়োজিত বৈঠকে, ফুটওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাসসমূহে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আন্ডারপাসসমূহে প্রয়োজনীয় লাইট, সিসিটিভি স্থাপনাসমূহ ব্যবহার করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। ৩০ আগস্টের মধ্যে এ নির্দেশনা নিশ্চিত করতে বলা হয়। ঢাকা শহরের সব সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও অন্যান্য সিঙ্গেল সাইন দৃশ্যমান করা, ফুটপাথ হকারমুক্ত রাখা, অবৈধ পার্কিং এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা, সব সড়কের নাম ফলক দৃশ্যমান স্থানে সংযোজনের নির্দেশ দেয়া হয় ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে (ডিএসসিসি) । আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সময়ে ঢাকা শহরে রিমোট কন্ট্রোলড অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগন্যালিং পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব সড়কের রোড ডিভাইডারের উচ্চতা বৃদ্ধি করে বা স্থানের ব্যবস্থাপনা অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ, অবৈধ পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ফিটনেস দেয়ার প্রক্রিয়াতে অবশ্যই পরিবহন দেখে ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নিতে হবে। যানজট নিরসনে সব সংস্থাকে নির্দেশনা ॥ রাজধানীর যানজট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সব সংস্থাকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আর, কালক্ষেপণ নয় এখনই মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান। রাজধানীর যানজট নিরসনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, ডিএমপি, ডিটিসিএসহ সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজে নামার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্যসচিব নজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম আব্দুল্লাহপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়ক পরিদর্শনে নামে। এ সময় তারা কুড়িল, মহাখালী, কাওয়ান বাজার, শাহবাগসহ বেশ কয়েকটি স্পটে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নেমে খুঁটিনাটি সমস্যা চিহ্নিত করেন। সভা থেকে বাস্তবায়নকারী সব সংস্থাকে এখন থেকেই সক্রিয়ভাবে কাজে নামার নির্দেশনা আসে। যেখানে যেখানে ফুটওভার ব্রিজ প্রয়োজন সেখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, আন্ডারপাসগুলো পরিষ্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা। একইভাবে আব্দুল্লাহপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কে বিভিন্ন জায়গায় বাস বে নির্মাণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৬ কোম্পানির ভিত্তিতে যে বাস নামানোর কথা সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে।
×