ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

মন ভেজানো কবিতা সন্ধ্যা, বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১১ আগস্ট ২০১৮

   মন ভেজানো কবিতা সন্ধ্যা, বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কবিতা শুনে শ্রোতার শরীর না ভিজলেও সিক্ত হতে পারে মন। স্নাত হতে পারে অন্তরাত্মা। আর সেই কবিতায় যদি যুক্ত হয় বৃষ্টির কথা, সহজেই প্লাবিত হয় শ্রোতার হৃদয়। বৃষ্টিঝরা শব্দের শিল্পিত উচ্চারণের সহযাত্রী হয়ে উঠে আসে বিরহ-প্রেম, অভিমান কিংবা আশা জাগানিয়া কথামালা। তেমনই হৃদয় স্নাত এক আবৃত্তিসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হলো শুক্রবার ছুটির দিনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটম-লে কাব্যপ্রেমীরা উপভোগ করলেন ‘বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা’ শীর্ষক আবৃত্তি পরিবেশনা। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতায় সজ্জিত প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন ফয়জুল আলম পাপ্পু। কবিতাসন্ধ্যাটি উৎসর্গ করা হয় প্রয়াত কবি বেলাল চৌধুরীকে। প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে প্রকাশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন। কবিতার দোলায়িত ছন্দের আশ্রয়ে এগিয়ে চলে শিল্পীর কণ্ঠস্বর। প্রতিধ্বনিত হয়Ñ বৃষ্টি হোক, একবার বৃষ্টি হোক/দ্বিধার আকাশ ছিঁড়ে ঝরুক প্রেরণা-আর্দ্র জল/প্রাণের মন্দিরা আজ/বাজাতে বাজাতে যাবো মাটির নিকটে...। বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা নামের কবিতার শব্দচয়নে কবিতারসিক শ্রোতার চৈতন্য আবিষ্ট হয় প্রশান্তিময়তায়। ঘণ্টাব্যাপী পরিবেশনায় বৃন্দ, দ্বৈত ও একক কণ্ঠে বাচিকশিল্পীরা মেলে ধরেন কবির কিছু নির্বাচিত কবিতা। রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ কবিতায় শুধু আষাঢ় বা শ্রাবণের বৃষ্টির কথা বলেননি। তিনি কল্যাণের, শান্তির ও স্বস্তির বৃষ্টির কথা বলেছেন। বৃষ্টি যেমন ময়লা ধুয়ে নেয়, বাতাসে স্নিগ্ধতা আনে তেমনি আমাদের জীবনে, মানসিকতায় স্বস্তি ও শান্তির বৃষ্টি নামুক। পরিবেশনার সূত্র ধরে উচ্চারিত হয়েছে সেসব কবিতা। কবিতাকেন্দ্রিক আয়োজনে ছিল না কোন অতিথি কথনের বাগাড়ম্বর। সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পীদের বৃন্দ পরিবেশনায় ‘ইশতেহার’ নামের কবিতাপাঠের মাধ্যমে শুরু হয় পরিবেশনা পর্ব। সম্মেলক পরিবেশনা শেষে সিদরাতুল আফিয়া মোহনা একক কণ্ঠে আবৃত্তি করেন ‘বারবার আপনার চোখ’ নামের কবিতা। ফয়জুল আলম পাপ্পু আবৃত্তি করেন ‘এ কেমন ভ্রান্তি আমার’। মাহাবুব রিমন পঠিত তিনটি কবিতার শিরোনাম ছিল ‘টের পাই’, ‘উল্টে ঘুড়ি’ ও ‘ স্বাস্থ্যসম্মত প্রত্যাখ্যান। দোলন রানী আবৃত্তি করেন ‘স্বপ্ন-জাগানিয়া’ কবিতাটি। বৃন্দ কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘মাংশভুক পাখি’ ও ‘মুখোমুখি’ শিরোনামের কবিতা। দ্বৈত কণ্ঠে ‘অভিমানের খেয়া’ শীর্ষক কবিতাপাঠ করেন পাপ্পু ও মোহনা। সব শেষে সম্মেলক কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘রাস্তার কবিতা’। ‘বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা’ শীর্ষক কবিতাটি আবৃত্তি করেন পাপ্পু। এছাড়াও বিভিন্ন কবিতাকে কণ্ঠে ধারণ করে পরিবেশনায় অংশ নেন দীপা সরকার তন্বী, শারমিন নাহার স্বর্ণা, জসিম উদ্দিন, মাহমুদা আখন্দ মমতা, সুফিয়া মেহেদী সঙ্গীতা, সাদিয়া আফরিন পুতুল, সান্ত¦না রায়, উম্মে ছোলাইমান যুঁথী ও সুবর্ণা অধিকারী। প্রযোজনাটির মঞ্চপরিকল্পনায় ছিলেন সিদরাতুল আফরিন মোহনা। ডালিয়া বড়ুয়ার আবহসঙ্গীতে আলোক প্রক্ষেপণে ছিলেন শাহাবুদ্দিন। শেখ কামাল ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ॥ গত ৮ আগস্ট ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন। একই মাসের ৫ তারিখ ছিল বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন। তাদের দু’জনকে স্মরণ করে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো শেখ কামাল ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন। উন্মুক্ত বিষয়ের ওপর ছবি এঁকেছে খুদে শিল্পীরা। চিত্রিত হয়েছে বাংলার নিসর্গ থেকে শুরু করে যাপিত জীবনচিত্র কিংবা মুক্তিযুদ্ধের দৃশ্যপট। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী, সমরজিৎ রায় চৌধুরী, নিসার হোসেন ও মনিরুজ্জামান। ৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত চারটি বয়স শ্রেণীতে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতা। প্রতিটি বিভাগের তিনজন আঁকিয়েকে পুরস্কৃত করা হয়। আজ সন্ধ্যায় ‘বরষার নতুন গান’ ॥ আজ শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সৃজনশীল গানের দল নিবেদন পরিবেশন করবে ‘বরষার নতুন গান’।
×