ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোসহীন নেতা ॥ আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ৮ আগস্ট ২০১৮

বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপোসহীন নেতা ॥ আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন আপোসহীন নেতা। যে দিন থেকে বঙ্গবন্ধু বুঝতে শিখেছেন, সেদিন থেকেই বাংলার জনগণের স্বার্থে তিনি কথা বলা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বর্বরোচিত ও নির্মমভাবে হত্যার পর ২১ বছর বিচার করা যায়নি। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ২১ বছর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, চেতনা ও স্বপ্ন ভুলিয়ে রাখার বহু চেষ্টা হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনও নিজের নয়, সব সময় বাংলার জনগণের জন্য চিন্তা করতেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এ জন্যই তখন তাকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা করতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আইন সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন আপোসহীন নেত্রী। তার আপোসহীনতার কারণেই ২১ বছর পরে হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিষয়ে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, এই বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে হাইকোর্টের সাত জন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপীল শুনানি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন এবং এ রকম অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে এই মামলার বিচারকার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ’৭১-এর পরাজিত শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করে তা উদ্বোধন করেছিলেন। আর এ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাত জন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপীল শুনানি গ্রহণ করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী ফাঁসির আসামি মহিউদ্দিন রায়ের ২৫০০ দিন পরে হাইকোর্টে আপীলে এসিছিল। তখন আমরা বলেছি এ আপীল গ্রহণ না করতে, তখন তৎকালীন বিচারপতি জয়নাল আবেদীনের বেঞ্চ আমাদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি। এতো বাধাবিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের পরও আমরা রায় পেয়েছি। রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। অন্যদের রায়ও কার্যকর হবেই হবে। আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। কোন ষড়যন্ত্রই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারবে না। এখনও বিভিন্ন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই দেশের মানুষের স্বার্থে সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে কোন ষড়যন্ত্রই তা ব্যাহত করতে পারবে না। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দিকে ধাবিত হয়েছেন। শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ব, গড়বই। বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, এ্যাডভোকেট শ.ম. রেজাউল করিম, এ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওসার প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার সঙ্গে নিহত পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
×