ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাস-মিনিবাস বন্ধ রাখা রহস্যজনক

রাজধানীতে গণপরিবহন সঙ্কট ॥ চরম জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৬ আগস্ট ২০১৮

 রাজধানীতে গণপরিবহন সঙ্কট ॥ চরম জনদুর্ভোগ

আজাদ সুলায়মান ॥ রাজধানীসহ দেশজুড়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মূলত গত এক সপ্তাহ ধরেই চলছে অঘোষিত এ পরিবহন ধর্মঘট। এতে দেশবাসী পড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে। এমনকি নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও পরিবহন বন্ধ রাখার নেপথ্যে নেই। এতে অন্য রাজনীতি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। তারা বলছে, যেখানে কোটি টাকার বিলাসবহুল প্রাইভেটকার চলছে, সিএনজি অটোরিক্সা, হলার, লেগুনা, মাইক্রো চলছে, কোন গাড়িতে একটা ঢিল পর্যন্ত মারা হয়নি, সেখানে কেন বাস মিনিবাস বন্ধ তা রহস্যজনক। গত ৮ দিন ধরে গণপরিবহন না চলায় নগরবাসী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নগরবাসী দুর্ভোগে পড়ুক, এটা কোন শিক্ষার্থীরই কাম্য নয়- বলে জানিয়েছে মারুফ নামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্র। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ আগের মতোই নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, কিভাবে গাড়ি বের করব। আপনি কি আমাদের নিরাপত্তা দেবেন। এমন পরিস্থিতিতে কখন গাড়ি বের করা সম্ভব হবে- সেটাও বলা যাচ্ছে না। নগরজুড়ে পরিদর্শন দেখা যায়, মহাখালী, গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও গাবতলী টার্মিনালে সারি সারি সাজানো রয়েছে দূরপাল্লার বাস মিনিবাস। শ্রমিকরা পাশেই অলস সময় কাটাচ্ছে। তাদের সবার মুখেই একই ভাষ্য ওপরের নির্দেশে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। কখন বের করা হবে তা কেউ বলতে পারছে না। সকাল দশটায় মহাখালী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, এখানে ৩৭ রুটের ৬৫৩ বাস সপ্তাহ ধরেই অলস পড়ে আছে। এদের মধ্যে শীর্ষ কোম্পানি এনা, একতা, সৌখিন, শাহ ফতেহ, ধলেশ্বর, শাহজালাল, অনন্যা, পিপিএলম, বিনিময়, ইসলাম, আলম এশিয়া, গোপালপুর, নিরালার কয়েক শত গাড়ি টার্মিনালের ভেতর ও বাইরে সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের শ্রমিকদের বেশিরভাগই টার্মিনালে বসে অলস সময় কাটাচ্ছে। কখন ওপরের নির্দেশ আসে, সে অপেক্ষায় রয়েছে। এখানকার টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান শহীদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, গত ৭ দিন ধরে গাড়ি বন্ধ থাকায় বিপুল পরিমাণ টোল আদায় থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের পাওনা রাজস্ব পরিশোধের কোন উপায় নেই। গাড়ি বন্ধ থাকলেও রাজস্ব মাফ নেই। এদিকে সায়েদাবাদ টার্মিনালের এক বাস মালিকও ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, মালিক সমিতির গোয়ার্তুমিতে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাস না চলার কোন কারণ নেই।
×