ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এই সেঞ্চুরিকেও সেরা বলছেন না কোহলি

প্রকাশিত: ০৭:৩৪, ৫ আগস্ট ২০১৮

এই সেঞ্চুরিকেও সেরা বলছেন না কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এজবাস্টনে বলতে গেলে কেবল টেল-এন্ডারদের নিয়ে খেলেছেন ১৪৯ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৭৪-এর অর্ধেকের বেশি রানই এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। বলতে গেলে এক হাতে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন বিরাট কোহলি। দ্রুত ২২তম সেঞ্চুরির পথে পেছনে ফেলেছেন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরকে। অনেকেই তার এই সেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ারসেরা বলে মনে করছেন। তবে স্বয়ং কোহলি সেটি মনে করেন না। সুপার উইলোবাজের মতে, ২০১৪ সালে এ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরিটিই তার এ পর্যন্ত সেরা। ওই সফরে মহেন্দ্র সিং ধোনি সিরিজের মধ্যপথে নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। এই বয়সেই দুর্দান্ত সব অর্জনে, ইতিহাসে নিজের নাম লেখানো কোহলি এগিয়ে রাখছেন হেরে যাওয়া ম্যাচে সেদিনের ১৪১ রানের সেই ইনিংসটিকে। ‘জানি না কোন ইনিংসটা সেরা। হয়তো এ্যাডিলেডের সেই ইনিংসের পরে এটা আসবে। ওটা চিরকালই আমার কাছে আলাদা। মনে রাখতে হবে সেবার দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চমদিনে ব্যাট করছিলাম ৩৬৪ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে। সেবার মনে এই বিশ্বাসটা ছিল যে, লক্ষ্যে পৌঁছাবই। সেটা খুব সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা ছিল। তবে এই ইনিংসটা খেলেও আমি খুবই খুশি আর সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ওয়েবসাইটে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন কোহলি। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্টের সিরিজে ১০ ইনিংসে মাত্র ২৮৮ বল খেলে করেছিলেন ১৩৪ রান। সেই ১০ ইনিংসে তার স্কোর ছিলÑ ১, ৮, ২৫, ০, ৩৯, ২৮, ০, ৭, ৬ ও ২০! গড় ১৩.৪০!! এরপর থেকেই কোহলির বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের তকমায় চোট লেগেছিল। এবার তিনি সেই চোট সারিয়েছেন পাঁচ টেস্টের সিরিজে দলের প্রথম ইনিংসেই। এজবাস্টনে প্রথম ইনিংসে কোহলি আউট হয়েছেন ২২৫ বলে ১৪৯ রান করে। সংখ্যায় এর মহিমা বোঝা যাবে না। বোঝা যাবে কি পরিস্থিতিতে ২৭৪-এ অলআউট ভারতের হয়ে ১৪৯ই অধিনায়কের। অষ্টম, নবম ও দশম উইকেটে যথাক্রমে শামি, ইশান্ত ও উমেশের সঙ্গে গড়েন ১৩, ৩৫ ও ৫৭ রানের জুটি। চার ও দুই রান কিংবা ওভারের শেষ বলে এক রানÑ শেষদিকে এই কৌশলে দেশের ইনিংসটা একাই টেনে নিয়েছেন। তাতে মাটিচাপা পড়েছে চার বছর আগের দুঃসহ স্মৃতি। যদিও শেষ পর্যন্ত হার এড়ানো সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো নয়, ইনিংসটা আরও টেনে নিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। আউট হয়ে তাই আমি খুবই হতাশ হয়ে পড়ি। চেয়েছিলাম অন্তত ১০-১৫ রানে এগিয়ে থাকতে (লিড)। পরে আবার মনে হলো, সেটা হলে তো আর দ্বিতীয়দিন আমরা বোলিং করতেই পারতাম না। এই সেঞ্চুরিটিও তাই বিশেষ কিছু।’ অস্ট্রেলিয়া সফরে এ্যাডিলেডে চার বছর আগের রান-বন্যার ওই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন কোহলি। জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারও। ধোনির অনুপস্থিতিতে সে ম্যাচে প্রথমবারের মতো টেস্টে ভারতকে নেতৃত্বও দিতে হয়েছিল কোহলিকে। শেষ দিনে ভারতের সামনে ছিল ৩৬৪ রানের লক্ষ্য। কোহলি বলেছিলেন, তারা জয়ের জন্যই খেলবেন। কোহলির ১৪১ রানের অসাধারণ ইনিংসের পরও ভারত শেষ পর্যন্ত হেরেছিল ৪৯ রানে। ‘যেভাবে এই সিরিজের (ইংল্যান্ডে চলতি সফর) জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আমি খুশি। অন্য কে কী বলল তা নিয়ে ভাবার সময় নেই।’ বলেন কোহলি।
×