ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুকে অপপ্রচার ॥ অভিনেত্রী নওশাবা আটক

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ৫ আগস্ট ২০১৮

ফেসবুকে অপপ্রচার ॥ অভিনেত্রী নওশাবা আটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদকে আটক করেছে র‌্যাব। শনিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে আটক করা হয়। র‌্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে কাজী নওশাবা দাবি করেন, রাজধানীর জিগাতলায় একজন শিক্ষার্থীর চোখ তুলে ফেলা ও চার শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে তার এসব তথ্যের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমন অপপ্রচারে সারা দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। চারদিকে গুজবের ডালপালা বাড়তে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হলে ওই গুজবের কোন সত্যতা মেলেনি। পরে তাকে র‌্যাব আটক করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। শনিবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে কাজী নওশাবা দাবি করেন, রাজধানীর জিগাতলায় একজন শিক্ষার্থীর চোখ তুলে ফেলা ও চার শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা হয়েছে। জিগাতলায় সংঘর্ষের এ ঘটনার জেরে ফেসবুক লাইভে হাজির হয়েছিলেন ঢাকা এ্যাটাক চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী কাজী নওশাবা। বিকেলে ধানমন্ডিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্বৃত্তের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সময় ফেসবুক লাইভে ওই ঘটনায় চার জন নিহত ও চার জন ধর্ষণের ঘটনার কথা তুলে ধরেন ও সেখানে আরও যারা আটকে আছেন তাদের বাঁচানোর অনুরোধ করেন তিনি। পরে জানা গেছে, মৃত্যুর খবরটি গুজব। নওশাবার লাইভ দেখে অনেকেই মনে করেছেন, অভিনেত্রী নওশাবা ঘটনা স্থলের আশপাশে থেকেই লাইভ করছিলেন। তার লাইভে আসার ভিডিওটি অল্প সময়ের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এ বিষয়ে নওশাবার সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছিলেন, সে সময় আমি ধানমন্ডিতে ছিলাম না, ছিলাম উত্তরায়। এক বন্ধুর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেই লাইভে আসি। খবরটি শোনার পর ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আন্দোলনের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে ছিলাম। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয়ও ছিল। এদেরই একজন আমাকে ফোন দিয়ে এই খবরটি জানায়। এরপর লাইভে ঘটনাটি সবাইকে জানিয়েছি। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না। আপনারা এখনই রাস্তায় নামবেন ও আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবেন, এটা আমার রিকোয়েস্ট। বাচ্চাগুলো নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আপনারা প্লিজ কিছু একটা করেন। আপনারা সবাই একসঙ্গে হোন। আমি এ দেশের মানুষ, এ দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করছি। এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে শনিবার চারজন ছাত্রীকে আটকে রাখা এবং একজন ছাত্রের চোখ ওঠানো হয়েছে বলে ফেসবুকে যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’। একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই গুজব ছড়িয়েছে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এটি ফেসবুকে ছড়ানো প্রচারণা। এই গুজব ছড়ানোর ফলে একজন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী পুলিশবাহিনী আন্দোলনরত শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কার্যালয়ের প্রতিটি কক্ষ তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখা হয়, কিন্তু কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
×