ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:১০, ৩ আগস্ট ২০১৮

ঝলক

হাতের ওপর আস্ত সেতু ‘হ্যান্ড অব গড’ বলতে আর্জেন্টিনার প্রখ্যাত ফুটবলার ম্যারাডোনার কথাই মনে পড়ে। তবে এবার কমিউনিস্ট দেশ ভিয়েতনামের হ্যান্ড অব গড নামে একটি তাক লাগানো স্থাপনা দেখলে আপনি অবাক হবেন। এখানে হাতের ওপর তৈরি করা হয়েছে একটি আস্ত সেতু। মধ্য ভিয়েতনামের বনভূমি অংশে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে এসেছে কংক্রিটের প্রকাণ্ড দুটি হাত। দুই হাত ধরে রেখেছে সোনালি রঙের এই সেতু। এটি দেখতে দেশ-বিদেশের প্রচুর পর্যটক ভিড় জমাচ্ছেন। মূলত পর্যটক আকর্ষণের জন্যই সম্প্রতি সেতুটি খুলে দেয়া হয়। সামাজিক মাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে হ্যান্ড অব গড-এর এই সোনালি সেতুর ছবি। মানুষের এতটা পছন্দ হতে পারে এই স্থাপত্যটি ধারণা ছিল না নির্মাতাদেরও। সেতুটির প্রধান ডিজাইনার ভু ভিয়েত আন্ বলেন, ‘আমাদের সত্যিই ভীষণ গর্ব হচ্ছে এটা দেখে যে গোটা বিশ্বের মানুষ আমাদের এই কাজের প্রশংসা করছেন।’ ১৯১৯ সালে ফরাসী ঔপনিবেশিকরা দেশটির হিল স্টেশন হিসেবে পাহাড়ের ওপর ১৫০ মিটার লম্বা একটি সেতু তৈরি করে। বর্তমানে গোটা এলাকাটি সেই উপনিবেশের রেপ্লিকা হিসেবেই গড়ে তোলা হয়েছে। ফরাসী স্টাইলের দূর্গ, ক্যাথিড্রাল, বাগান সবটা মিলে অসম্ভব নান্দনিকভাবে এই অঞ্চলকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এত কিছু ছেড়ে নবনির্মিত এই সোনালি ব্রিজের দিকেই মানুষের আগ্রহ বেশি। পর্যটক গুয়েন টুং ফুক জানান, এই ব্রিজ থেকে ডানাং শহরটি সুন্দরভাবে দেখা যায়। অপর এক পর্যটক বলেন, বহু জায়গায় ঘুরেছি। অনেক সেতুও দেখেছি। কিন্তু এত চমৎকার স্থাপত্য আগে কখনও দেখিনি। ভিয়েতনাম ইতোমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছে।-এএফপি অবলম্বনে। কুমিরের সঙ্গে বসবাস কুমির ও মানুষের একসঙ্গে বসবাস। এই কথা শুনলে অনেকের চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হবে। তবে বুরকিনাফাসোর এক গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে এই অদ্ভুত রীতি চলে আসছে। কুমিরের সঙ্গে শুধু বসবাস নয়। দেশটির বাজোলি নামের একটি ছোট্ট গ্রামের মানুুষের সঙ্গে কুমিরের রীতিমতো সখ্য গড়ে উঠেছে। গ্রামটির লোকজন কুমিরের সঙ্গে তাদের খাবার ভাগ করে খাচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনা কিভাবে সম্ভব হলো। খবরে বলা হয়েছে, ১৫ শতকে ওই গ্রামে দস্যুরা আক্রমণ চালায়। গ্রামটির সব সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। তবে বাজোলি গ্রামের ঠিক মাঝখানে ছোট্ট একটি পুকুর ছিল। ওই পুকুরে অনেকগুলো হিংস্র কুমিরের বাস ছিল। ওই সময় লোকজন ভয়ে ওই পুকুরের কাছে যেত না। কিন্তু গ্রামটিতে ব্যাপক লুটতরাজের পর লোকজন ওই পুকুরে পানি আনতে যায়। এভাবে ধীরে ধীরে কুমিরের সঙ্গে মানুষের সখ্য গড়ে উঠে। এরপর থেকে শত শত বছর বাজোলি গ্রামের লোকজন কুমিরের সঙ্গে পাশাপাশি বাস করে আসছে। আজ পর্যন্ত কুমির বাজোলির কোন লোকজনের ক্ষতি করেনি। গ্রামের শিশুরা কুমিরের পিঠের ওপর শুয়ে থাকে। মুখে চুমু খায়। গ্রামের লোকজন নিজের বাড়িতে পোষা পশুপাখি কুমিরের মুখে স্বেচ্ছায় তুলে দেয়। আর কুমিরগুলোও মানুষের আশপাশে ঘুরে বেড়ায়। কুমিরগুলো মারা গেলে গ্রামের লোকজন মিলে এগুলোকে কবর দেয়।-অডিটি সেন্ট্রাল অবলম্বনে।
×