ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইপিএলের দশ দামী ব্রাজিলিয়ান

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ২৮ জুলাই ২০১৮

 ইপিএলের দশ দামী ব্রাজিলিয়ান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন মৌসুম শুরুর আগে নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে লিভারপুল। গত মৌসুমে গোলরক্ষকের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা হাতছাড়া অলরেডরা এবার বাজিমাত করেছে গোলরক্ষক কিনেই। ইতিহাসের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এ্যালিসন বেকারকে কিনে এনেছে জার্গেন ক্লপের দল। ব্রাজিলের গোলরক্ষক এ্যালিসন বেকারকে কেনার জন্য লিভারপুলকে গুনতে হয়েছে ৫৬.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড। এর ফলে জিয়ানলুইজি বুফনকে ছাড়িয়ে এ্যালিসন বেকারই এখন বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী গোলরক্ষক। শুধু তাই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলা ব্রাজিলের এ যাবতকালের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারও এখন এ্যালিসন বেকার। লিভারপুলে লরিস ক্যারিয়াসের বদলি হিসেবে পারফর্ম করবেন তিনি। এ্যালিসন বেকারের পর ইপিএলে ব্রাজিলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারের নাম ফ্রেড। গত মাসে ৫৩.১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তাকে দলে ভিড়িয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের স্কোয়াডে ছিলেন তিনি। কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি ফ্রেড। তবে ফুটবলবোদ্ধাদের বিশ্বাস, জোশে মরিনহোর দলে ঠিকই নিজেকে মেলে ধরবেন এই ব্রাজিলিয়ান। তবে ২০১৮-১৯ মৌসুমের দলবদলে ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিয়েছেন ব্রাজিলের আরেক তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার রিচার্লিসন। কয়েকদিন আগেই ওয়াটফোর্ড থেকে তাকে ৪০.৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে কিনে নিয়েছে এভারটন। এর ফলে ব্রাজিলের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া ইপিএল তারকা এখন রিচার্লিসন। তার সমান পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই ট্রান্সফার উইন্ডোর আগে মোনাকো থেকে লিভারপুলে যোগ দেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ফাবিনহো। ইপিএলের এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন রবিনহো। ২০০৮-০৯ মৌসুমে ৩৮.৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তাকে কিনে নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি অথচ সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের এই তারকা ফুটবলার নিজের সেই পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। এ ছাড়াও ট্রান্সফার মার্কেট অনুযায়ী প্রিমিয়ার লীগে খেলা ব্রাজিলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারের তালিকায় ষষ্ঠ থেকে দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে রবার্তো ফিরমিনো, এডারসন, ফার্নান্দিনহো, ফিলিপে এ্যান্ডারসন এবং উইলিয়ানের নাম। ছয় নম্বরে থাকা রবার্তো ফিরমিনোকে ৩৬.৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে হফেনহেইম থেকে কিনে এনেছিল লিভারপুল। অলরেডদের আস্থার প্রতিদান দিতে মোটেও ভুল করেননি এই ব্রাজিলিয়ান। লিভারপুলের আক্রমণভাগকে বর্তমান বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের সেরা বললেও ভুল হবে না। মোহাম্মদ সালাহ আর সাদিও মানের সঙ্গে যে আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রবার্তো ফিরমিনোও। এরপর বেনফিকা থেকে গোলরক্ষক এডারসনকে কেনার জন্য ম্যানচেস্টার সিটিকে গুনতে হয়েছিল ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ড। এই তালিকায় সাতে রয়েছেন এডারসন। অষ্টম স্থানে থাকা ফার্নান্দিনহোকেও শাখতার দোনেৎস্ক থেকে এডারসনের সমান ৩৬ মিলিয়ন পাউন্ডের সমান পারিশ্রমিকে কিনে এনেছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা এই লীগে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারের তালিকায় নবম আর দশম স্থানে রয়েছেন ওয়েস্টহাম ইউনাইটেডের ফিলিপে এ্যান্ডারসন এবং চেলসির উইলিয়ান। ৩৪.২০ মিলিয়ন পাউন্ডে এ্যান্ডারসনকে ল্যাযিও থেকে কিনে এনেছিল ওয়েস্টহাম। অন্যদিকে এ্যাঞ্জি মাখাচখালা থেকে ৩১.৯৫ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন উইলিয়ান। তবে চেলসির এই ব্রাজিলিয়ান তারকা উইলিয়ানকে কেনার জন্যই এখন মরিয়া ইউরোপের শীর্ষসারির ক্লাবগুলো। তাকে দ্বিগুণ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কেনার জন্য তিন দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সিলোনা।
×