অলীক কল্পনা
আমাকে কোনোদিন কেউ বলেনি
একটু দাঁড়িয়োতো, একসাথে যাব!
আমাকে কেউ কখনো সুধায়নি
তুমি কাল কখন ফ্রি থাকবে, কখন তোমাকে পাব?
কেউ একটু অভিমান নিয়ে বলেনি কোনোদিন
তুমি আসো নি কেন সেদিন, তোমার অপেক্ষায় ছিলাম যেদিন!
কেউ কোনোদিন হাত বাড়িয়ে প্রশ্নও করে না
একটু ছুঁয়ে দেখো তো, জ্বর আছে কি না?
আমারও তো সাধ হয় কেউ বলুক
এই, একটু দাঁড়াও তো, একসাথে যাব!
আমারও মন চায়, কেউ প্রশ্ন করুক
কখন ফ্রি থাকবে, কখন পাব?
অভিমানের সুর শুনতে আমারও ভালো লাগে
তোমার অপেক্ষায় তো আমি ছিলাম, কেন চলে গেলে আগে?
আমিও তো চাই কেউ হাত বাড়িয়ে প্রশ্ন করুক
একটু ছুঁয়ে দেখো তো জ্বর আছে কি না, কেন এত খারাপ লাগে?
চাঁদ কুমারী, শুনছো তুমি? একদিন আমায় সুধিয়ো তো
তোমার চোখ দুটো এত লাল কেন? সারারাত ঘুমিয়েছো তো?
অথবা, উদ্বিগ্ন স্বরে জানতে চেয়ো, কি হয়েছে তোমার?
মুখটা এমন মলিন কেন? দেখি হাতটা ধরো তো আমার!
.
চিঠি
একটি চিঠি দিও,
খুব কষ্ট করে হলেও
একটি চিঠি দিও।
অনেক কথা যদি নাও লেখ
তবুও, তোমার স্পর্শ মাখা
একটি চিঠি দিও।
শীতের শিশির, কৃষ্ণচূড়ার লাল আগুন মাখানো
তোমার স্পর্শ মাখা
একটি চিঠি দিও।
বৃষ্টির কালিতে হৃদয়ের পাতাতে
তোমার স্পর্শ মাখা
একটি চিঠি দিও।
একটি চিঠি দিও বাতাসের হাতে,
পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলোয় লেখা
একটি চিঠি দিও।
যদি খুব কষ্ট হয়
যদি ভালো না লাগে তোমার
তবে অশ্রু দিও,
সারারাত কাঁদবো আমি।
শীর্ষ সংবাদ: