নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৬ জুলাই ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সর্মথন ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় মতপ্রকাশকারীদের দমন নির্যাতনের পথে হাঁটছে এ সরকার। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তি দাবি করেন। সরকারবিরোধী জাতীয় ঐক্য খুব শীঘ্রই বাস্তাব রূপ নিয়ে জাতির সামনে হাজির হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকে অর্থবহ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়। এজন্য মানুষকে নিরাপদে ভোট দেয়ার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে সরকার প্রতিদিন মানুষ হত্যা করছে।
তিনি সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজিত শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন সেটাকে বিলম্বিত করার পরও তিনি সুপ্রীমকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন, কিন্তু সেই জামিনেও তাকে মুক্ত হতে দিচ্ছে না এই সরকার। তার কারণ একটাই- এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চায়।
সোমবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজিত ঠাকুরগাঁও হাওলাদার কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার শুধু নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বেগম খালোদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। যে আওয়ামী লীগ আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালের আগে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে। যারা স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছিল, যারা মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছিল, গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছিল সেই আওয়ামী লীগ আর নেই। আজকে দেশে আওয়ামী লীগেই সবচেয়ে বড় নির্যাতনকারী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দমন করছেন ভিন্ন মতকে। গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে আমরা বলেছিলাম সাহস থাকলে একদিনের জন্য ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান। দেখুন জনগণ আপনাদের অবস্থা কি করে। ওবায়দুল কাদের উত্তরে বলেছিলেন, এক ঘণ্টাও যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকে তাহলে নাকি দেশে রক্তের নদী বয়ে যাবে। তিনি আওয়ামী লীগের কর্মীদের বলেছেন আপনারা টিকতে পারবেন না। হঠাৎ এই উপলব্ধি কেন ? কারণ আওয়ামী লীগ নিশ্চিত যে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ৩ মাস আগেই আইনগতভাবে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার কথা। কিন্তু এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বেগম খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে।
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের যেভাবে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে ঠিক একই কায়দায় বেগম খালেদা জিয়াকে মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি শাহেদ কামাল চৌধুরী ডালিমসহ আরও অনেকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: