ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৩ জুলাই ২০১৮

ঝলক

মরিচ খাওয়ার রেকর্ড সম্প্রতি চীনে এক ব্যতিক্রমী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সোমবার দেশটির হুনান প্রদেশে ঝালপ্রেমী মানুষদের নিয়ে আয়োজিত বার্ষিক চিলি পিপার উৎসবে মরিচ খাওয়ার প্রতিযোগিতায় এক ব্যক্তি এক মিনিট সময়ের মধ্যে পঞ্চাশটা মরিচ খেয়ে প্রথম হন। এই লোকটির নাম ট্যাং শুয়াইহুই। প্রতিযোগিতায় জেতার পর তাকে তিন গ্রাম স্বর্ণমুদ্রা উপহার দেয়া হয়। হুনান প্রদেশের নিনক্সিয়াংয়ের স্থানীয় থিম পার্কে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়। জরুরী প্রয়োজনে উৎসব স্থলে কয়েকজন ডাক্তার রাখা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দশ জন প্রতিযোগীর প্রত্যেককে পঞ্চাশটা করে ঝাল মরিচ খেতে দেয়া হয়েছিল এবং সবচেয়ে কম সময়ে যে মরিচগুলো সাবাড় করতে পারবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। ট্যাং মাত্র ৬৮ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে সবকটা মরিচ খেয়ে রেকর্ড গড়েন। সঞ্চালকের কথা শেষ হতে না হতেই খুব দ্রুত মরিচগুলো খেয়ে ফেলেন ট্যাং। তবে মরিচগুলো খাওয়ার পর ট্যাংয়ের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। হুনান প্রদেশ বিভিন্ন খাদ্য, মশলা এবং রঙের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও চীনের সিচুয়ান, ক্যান্টোনিজ প্রদেশের খাবার বেশ বিখ্যাত। -চায়না ডেইলি অবলম্বনে। বিরিয়ানি নিয়ে লড়াই রসগোল্লার আদি আবিষ্কার কোথায়- তা নিয়ে ভারতে কম জল ঘোলা হয়নি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষা রাজ্যের মধ্যে আইনী লড়াই পর্যন্ত হয়েছে। তবে এবার বিরিয়ানি নিয়ে লড়াই বেধেছে দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের মধ্যে। ভারতের হায়দ্রবাদ শহরের বিরিয়ানি পৃথিবীখ্যাত হয়েছে অনেক আগেই। একসময়ে অন্ধ্র প্রদেশের রাজধানী ছিল হায়দ্রবাদ শহর। কিন্তু পুরনো অন্ধ্র ভেঙ্গে এখন তৈরি হয়েছে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা। রাজধানী হায়দ্রবাদ পড়েছে তেলেঙ্গানার ভাগ্যে। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের সব দফতরই এখন চলে গেছে বিজয় ওয়াডার কাছে, তাদের নতুন তৈরি হওয়া রাজধানী শহর এখন অমরাবতীতে। আর পুরনো রাজধানী শহরের সঙ্গে সঙ্গেই তারা হারাতে বসেছে হায়দ্রবাদী বিরিয়ানির ব্র্যান্ড ভ্যালু। তাই অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্য চেষ্টা করছে নিজস্ব বিরিয়ানির ব্র্যান্ড তৈরি করতে। তারা খুঁজেও পেয়েছে নিজস্ব এক রেসিপির বিরিয়ানি। এর নাম বঙ্গু বিরিয়ানি। বিশাখাপত্তনমের কাছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র আরাকু উপত্যকার আদিবাসীদের রন্ধনপ্রণালী থেকে এসেছে এই বঙ্গু বিরিয়ানি। এই নামের রহস্য হল বঙ্গু বা বাঁশের খোলের মধ্যে রান্না করা হয় এই বিরিয়ানি। অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি এখনও নতুন অন্ধ্র প্রদেশেরও মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পর্যটন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে বঙ্গু বিরিয়ানিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাতে হবে, তৈরি করতে হবে হায়দ্রবাদী বিরিয়ানির পাল্টা ব্র্যান্ড। এই নিয়েই বেধেছে লড়াই। এ বিষয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পুষ্পেশ পন্থ বলেন, এটা স্রেফ ছেলেমানুষী। এসব আঞ্চলিকতাবাদ ছাড়া আর কিছু নয়। অন্ধ্রের নিজস্ব অসাধারণ সব আমিষ খাবার রয়েছে, যেমন গোঙ্গুরা মাংসাম। শত শত বছরের পুরনো চিরাচরিত সেই খাবার ছেড়ে বিরিয়ানি নিয়ে ঝামেলায় জড়িয়েছে এই দুই রাজ্য। তিনি বলেন, বিরিয়ানি তো অন্ধ্রের নিজস্ব রেসিপি নয়। সেটা নিজামদের হাত ধরে গেছে হায়দ্রবাদে। তার মতে, ‘অন্ধ্রের নিজস্ব খাবারে তো চাল, মরিচ আর সামুদ্রিক মাছের চল বেশি। আবার পুথারেকু নামের এক ধরনের ঝাল মিষ্টি রয়েছে যা তৈরি করা সত্যিই একটা শিল্পকর্ম। সেইসব রেসিপিকে জনপ্রিয় না করে হায়দ্রবাদী বিরিয়ানির পাল্টা একটা বিরিয়ানির ব্র্যান্ড তৈরি করার কোন নেই। বঙ্গু বিরিয়ানি তৈরির প্রণালীতে বলা হয়েছে, ভেজানো কাঁচা চালের সঙ্গে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, তেজপাতা ও ঘি সব একসঙ্গে পুরে দিতে হবে বাঁশের খোলের ভেতরে। তার মধ্যেই হাড় ছাড়া মুরগির টুকরো দিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে পরিমাণ মতো পানি। তারপরে বাঁশের খোলের মুখ বন্ধ করে কাঠকয়লার আঁচে দিতে হবে। আধঘণ্টা থেকে ৩৫ মিনিট মতো ভাপে সেদ্ধ হবে বাঁশের খোলের ভেতরে থাকা চাল, মাংস আর সবজি। -বিবিসি অবলম্বনে।
×