ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্ধার হওয়া কিশোরদের বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল দেখার আমন্ত্রণ- পৃষ্ঠা-৫

গুহা থেকে আরও ৪ থাই শিশু উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১০ জুলাই ২০১৮

গুহা থেকে আরও ৪ থাই শিশু উদ্ধার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ডের ‘থাম লুয়াং’ গুহা থেকে আরও চার কিশোরকে বের করে আনা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে মোট আট কিশোরকে উদ্ধার করা হলো। দেশটির একটি কিশোর ফুটবল দল ১৭ দিন আগে উত্তরের প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ওই গুহাটিতে আটকা পড়ে গিয়েছিল। খবর বিবিসির। রবিবার ওই কিশোরদের গুহা থেকে বের করে আনা শুরু হয়। ওই দিন চারজনকে বের করার পর নতুন করে প্রস্তুতি নিতে অভিযান স্থগিত করা হয়। সোমবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ডুবুরিরা। অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর দিনের প্রথম সাফল্য পাওয়ার কথা জানান থাই নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা। গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদ্যাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ উত্তরের চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করে। প্রচ- বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার ১০দিন পর ডুবুরিরা দলটির সন্ধান পায়। ওই কিশোরদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। রবিবার থেকে কিশোরদের বের করে আনতে শুরু করেন ডুবুরিরা। ওই দিন চার কিশোরকে বের করে আনা সম্ভব হয়। রাত হয়ে যাওয়ায় এবং ডুবুরিদের নতুন করে গুহায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিতে ওই দিন অভিযান স্থগিত করা হয়। রবিবার বের করে আনা চার কিশোরের সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গুহা থেকে উদ্ধারের পর তাদের হেলিকপ্টারে করে চিয়াং রাইর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সোমবার উদ্ধার করা কিশোরদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কিশোর দল ও তাদের কোচকে বের করে আনতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিশোরদের গুহা থেকে বের করে আনার অভিযানে ৫০ জন বিদেশী এবং থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর ৪০ জন ডুবুরি সরাসরি অংশ নিচ্ছেন। তাদেরকে সময়ের বিপরীতে লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ দেশটিতে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভারি বর্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এমনকি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঝড়বৃষ্টিও হতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের এমন পূর্বাভাসের পর গত শনিবার রাতে অস্ট্রেলিয়ার একজন চিকিৎসক কিশোরদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দলটিকে বের করে আনার অভিযান শুরু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরদিন সকাল থেকে কিশোরদের বের করে আনতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়। যাকে ‘ডি-ডে’ বলে বর্ণনা করেন উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোটানাকোরন।
×