ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৬ জুলাই ২০১৮

উবাচ

মান্নার অভিমান স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবদার। চাওয়া-পাওয়া আর মান-অভিমানের বিষয়টি শুধু আপনজনের কাছেই সাজে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এর বাইরে এসবের কোন স্থান কি আছে। নেই। কারণ, রাজনীতি বা অফিসিয়াল কোন কাজ মানেই নিয়ম অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। যদি নিয়মের ছন্দ পতন ঘটে, তবে চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে সমন্বয় নাও হতে পারে। তাই বলে কি অভিমান। এই অভিমান ভাঙ্গানোর তো কেউ নেই। থাকার কথাও নয়। তাই গোস্সা না করাই হয়ত নিজের জন্য ইতিবাচক! আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে যাবার পর অনেকদিন ধরেই রাজনীতির ময়দানে আছেন মাহামুদুর রহমান মান্না। শেষ পর্যন্ত দলের নিবন্ধন নেয়ার চেষ্টা। আনুষ্ঠানিক আবেদনও করেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। তাই প্রত্যাশাও ছিল হয়ত সহজেই নিবন্ধন মিলবে। কিন্তু বিধি বাম। প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তাই অভিমান সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার। এ প্রসঙ্গে মান্না গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে দাবি করি- নিবন্ধন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত নাগরিক ঐক্য পূরণ করেছে। কিন্তু এরপরও আমাদের দলকে নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক। আমরা নির্বাচন কমিশনের এই স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। মান্না বলেন, নাগরিক ঐক্যকে কেন নিবন্ধন দেয়া হয়নি, সেটা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি আমার হাতে এসেছে। চিঠিটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, এটা আমাদের নিবন্ধন না দেয়ার কারণকে আদৌ স্পষ্ট করেনি। আমি আইনজীবীর মাধ্যমে এর কারণ জানতে চাইব। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাগরিক ঐক্য প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিল। এরপর গত ৮ এপ্রিল একটা চিঠির মাধ্যমে আমাদের আবেদনে কিছু ঘাটতির কথা জানানো হয়। আমরা যেভাবে আমাদের ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলাম, তাতে সেই বর্ণিত ঘাটতিগুলো থাকার কথা নয়। কিন্তু তবুও আমরা আন্তরিকতার প্রমাণ রাখতে আরও কিছু ডকুমেন্ট যুক্ত করেছিলাম। নিবন্ধন পাওয়ার ঐকান্তিক ইচ্ছায় আমরা এর পরও নির্বাচন কমিশনের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জানতে চেয়েছিলাম আমাদের আর কোন পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন থাকলে আমরা সেটাও করতে প্রস্তুত আছি। এ ব্যাপারে আমাদের বিস্তারিত পথনির্দেশ করা দূরে থাকুক তারা আমাদের ন্যূনতম সাড়াও দেননি। তিনি বলেন, যে দুটি দলকে পরবর্তী যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে সে দুটি দলের অস্তিত্ব সম্পর্কে দেশবাসীকে জিজ্ঞেস করলেই জবাব পাওয়া যাবে। কোন দল ছোট কিংবা বড় সেটা নিয়ে হেয় করার মানসিকতা আমাদের নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনই দলকে হেয় করার কাজ শুরু করেছে বলেই কথাটা। অটুট ভালবাসা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভালবাসা ও সম্পর্ক। একেবারেই ভিন্ন রকম বিষয়। যার সঙ্গে অন্য কিছুর সহজেই তুলনা চলে না। ভালবাসার ধারাবাহিকতা রক্ষা আর সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। এমনকি জীবন দিতেও দ্বিধা করে না। যদি সঙ্গী সত্যিকারের হয়! এ রকম প্রমাণ পৃথিবীজুড়ে আছে। ভালবাসার দৃষ্টান্ত দিয়ে সত্যিই শেষ করা যাবে না। পাঠকের কাছেও বিষয়টি নতুন কিছু নয়। কিন্তু নতুন আরেকটি ভালবাসার দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে। তাই সম্পর্ক ও ভালবাসা নিয়ে আলোচনাও অনেকটা ভিন্ন! দেশের রাজনীতিতে আলোচিত দল জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত থাকায় দলটিকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এই সমালোচনা আরও চাঙ্গা হয় অভিযুক্ত দলটি যখন বিএনপির অন্যতম জোট শরিক। অর্থাৎ রাজনৈতিক মিত্র। জামায়াতের কারণে বিএনপিকে অনেক মাসুল দিতে হয়েছে। এটাও কারো অজানা নয়। এখনও দিতে হচ্ছে। বিএনপির অনেক নেতাও চান জামায়াতকে মাইনাস করে রাজনীতি করতে। সাধারণ মানুষের এমন দাবিও আছে দীর্ঘদিন থেকেই। কিন্তু সম্পর্ক, প্রেম, ভালবাসা বলে তো কিছু আছে। হে প্রিয়! কি করে ভাঙ্গি এ প্রেম, কি করে ভাঙ্গি এই ভালবাসা..., তোমারি জন্য হৃদয়ে হৃদয় কাঁদে মন প্রাণ সব সময়...। তাই রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেদিকেই যাক না কেন বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের প্রেম ভাঙ্গার নয়। কখনও দূরত্ব সৃষ্টি হবে এমন ধারণাও অমুলক। যার আভাস মিলেছে সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথায়। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েনের প্রশ্নই উঠেনি বলে দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের সভা শেষে তিনি বলেন আসন্ন বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একক প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে জোটভুক্ত সব দলের নেতাকর্মীরা। হায়রে প্রেম! আগামী ২৬ জুলাই নির্বাচন। তিন সিটিতেই প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনে মেয়র পদে বরিশালে মজিবুর রহমান সারোয়ার, সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী ও রাজশাহীতে মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এদিকে সিলেটে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের সিলেট মহানগরের আমির এহসান জুবায়ের। ওই সিটি কর্পোরেশনে তারা বিএনপিকে ‘ছাড় দেবে না’ বলে সংবাদমাধ্যমের খবরের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেটা তাদের বক্তব্য। আমাদের ২০ দলের বক্তব্য হচ্ছে, আমরা একক প্রার্থী নিয়েই নির্বাচন করব। সেক্ষেত্রে বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে জামায়াতের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে আপনারা কী করবেন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা নির্ভর করবে যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে তখন আপনারা জানতে পারবেন। সেখানে প্রার্থিতা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের টানাপোড়েনের শঙ্কা করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন টানাপোড়েন হয়নি। এখন পর্যন্ত প্রশ্নই ওঠেনি। যে কারণে আপনারা নিশ্চয়ই আমাদের রেজ্যুলেশনে লক্ষ্য করেছেন, আমরা ২০ দল একত্রিতভাবেই কাজ করব। আলো দেখছেন নোমান স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির প্ল্যাটফর্মে রাজনৈতিক হাতাশা দীর্ঘদিনের। কোন কিছুতেই ক্ষমতাসীনদের কাবু করা যাচ্ছে না। কাজে আসছে না আন্দোলন। ফাঁস হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সরকারবিরোধী চক্রান্তও। নেতাদের জেলে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়ার দুষ্কর। চলমান অবস্থাই জানান দেয় আলোর সন্ধানে বিএনপি। তাই যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেরাই অনেক সময় আলো ভেবে শান্তনা খোঁজার চেষ্টা করেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আলোর পথ না থাকলে দল, কর্মী-সমর্থক সবই অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে তাই হয়ত... আশার আলোর কথা শোনান শীর্ষ নেতারা। দেশে রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে ‘জাতীয় ঐক্য’ গড়ার ক্ষেত্রে ‘আশার আলো’ দেখার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তার মধ্য দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে কমল একাডেমির উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ শিরোনামের আলোচনা সভায় এসব বলেন তিনি। আজ দেশের যে পরিস্থিতি তাতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট আমরা চেষ্টা করছি, জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য একথা উল্লেখ করে নোমান বলেন, এই ঐক্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করছি একটা আশার আলো প্রজ্বলিত হয়েছে এবং এটা ধীরে ধীরে আরও বেগবান হবে। খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘ভুল-ত্রুটি’ স্বীকার করে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ওই দুই সিটিতে পুনর্নির্বাচন দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, ভুল-ত্রুটি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেখানে বলছে যে, ওই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি; কমিশনের উচিত পদত্যাগ করা।
×