ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নবীন শিল্পীদের জন্য বেতারে সঙ্গীত কর্মশালা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৩ জুলাই ২০১৮

নবীন শিল্পীদের জন্য বেতারে সঙ্গীত কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীন কণ্ঠশিল্পীদের জন্য নিজেকে শাণিত করার দারুণ সুযোগ। প্রবীন ও প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের অর্জিত অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ পাবে তরুণ শিল্পীরা। কর্মশালার মাধ্যমে প্রবীণের সঙ্গে নবীনের সঙ্গীতবিষয়ক ভাবনার বিনিময় হবে। নবীন শিল্পীদের জন্য প্রথমবারের তিন দিনের এই কর্মশালার আয়োজনটি করেছে বাংলা বেতারের ঢাকা কেন্দ্র। এ কর্মশালায় অংশ নেবেন ‘গ’ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শতজন নবীন শিল্পী। সঠিকভাবে সঙ্গীত পরিবেশনার পাশাপাশি সঙ্গীতের ইতিবৃত্ত, সুর ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার, আধুনিক গানের সেকাল-একাল, সঙ্গীতের বিকাশে বেতারের ভূমিকা তুলে ধরা হবে কর্মশালায়। লোক সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, যন্ত্র সঙ্গীতের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেবেন সঙ্গীত বিষেজ্ঞরা। সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের জাতীয় বেতার ভবন মিলনায়তনে এই কর্মশালার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান ও বেতারের উপ-মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) সালাহউদ্দিন আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল। স্বাগত বক্তেব্য রাখেন বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক সায়েদ মোস্তফা কামাল। লিয়াকত আলী লাকী বলেন, শিল্প সংস্কৃতি আমাদের প্রকৃত আলোর পথ দেখাতে পারে। বাংলাদেশ বেতারের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। ভাষা আন্দোলন, গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করেই এগিয়ে চলেছে তারা। কণ্ঠের সুন্দর শৈলির পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চায় সুর ও ছন্দের বিষয়টিও শিল্পীর মনোজগতে থাকবে। সঠিকভাবে সঙ্গীত পরিবেশনায় প্রতিটি শিল্পীকে সচেতন থাকা দরকার। সুর ও ছন্দবিহীনভাবে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়। শিল্পকলা একাডেমি বেতারকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্পীদের খুঁজে আনাসহ যেকেন কর্মকা-ে সহযোগিতা করবে। আজাদ রহমান বলেন, বেতার আমাদের জন্য উপসনালয়ে মতো। এখানে শিল্পী তৈরি হয়েছে। আজকে যারা অংশ নিয়েছের তারা আমাদের কর্মের বংশধর। একজন সঙ্গীত শিল্পী হতে চাইলে অনুশীলন, গবেষণা ও চর্চার কেন বিকল্প নেই। আমার জীবনে যা কিছু প্রাপ্তি তার পেছনে বেতারের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই সময় সুযোগ পেলেই বেতারে প্রচারিত গান শুনেছি। মুক্তিযুদ্ধের গানের ভেতর থেকে আমরা সবাই উজ্জীবিত হয়েছি। নবীন শিল্পীদের তিনি সঙ্গীত কর্মের মাধ্যমে বিশ্ব জয় করার আহ্বান জানান। নারায়ণ চন্দ্র শীল বলেন, বেতারের এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে শিল্পীরা নানাভাবে উপকৃত হবেন। আমরাও এই কর্মশালা থেকে বিশেষ সুফল পাব। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সঙ্গীত বিষয়ক নানা কর্মসূচী নেয়া হবে। স্বাগত বক্তেব্যে সায়েদ মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ বেতার তার ১২টি কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে সব ধরনের শ্রোতার কথা বিবেচনা করে মানসম্মত গান প্রচার করে থাকে। গানের প্রতিটি ধারায় যে সব শিল্পীবৃন্দ অংশ নেন তারা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। তারপরেও নানা বিবেচনায় এবং অগ্রজ শিল্পীদের মতামতের উপর আমরা এই কর্মশালার আয়োজন করেছি। তিন দিনের এই কর্মশালায় বিভিন্ন ধারার খ্যাতিমান শিল্পীরা প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণ প্রদানকারী শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন আজাদ রহমান, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাদি মোহাম্মদ, খায়রুল আনাম শাকিল, সালাউদ্দিন আহমেদ, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী প্রমুখ। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে কর্মশালা। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে ৬ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
×