বিমান দুর্ঘটনায় নিহত এনায়েতের বাড়িতে শুধুই কান্না

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২ জুলাই ॥ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট এনায়েত কবির পলাশের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে স্বজনদের মাঝে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। রবিবার রাতে কে-৮ ডব্লিউ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যশোরের বুকভরা বাঁওড়ে তিনি ও অপর পাইলট সিরাজুল ইসলাম নিহত হন। সোমবার দুপুরে কৃষ্ণপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামজুড়ে শোক বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে লোকজন জটলাবেঁধে পাইলট পলাশের মেধা ও দক্ষতার প্রশংসা করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। অনেকের চোখে পানি পড়তে দেখা গেছে। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই তার পরিবারের লোকজন ঢাকায় রওনা দেন। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় গ্রামবাসী তার মৃত্যুতে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। নিহত পাইলট পলাশের মামা চিকিৎসক আবু তাহের জানান, তিনভাই ও একবোনের মধ্যে পলাশ সবার বড়। তার বাবা চিকিৎসক শফি উদ্দিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পলাশ ১৯৯৭ সালে জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯৯ সালে সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হিসেবে বিমানবাহিনীতে যোগদানের পর ২০০২ সালে ৪৬তম ব্যাচে কমিশন্ড লাভ করেন। পাঁচ বছর আগে তিনি রাজবাড়িতে বিয়ে করেন। তা র স্ত্রী নায়ান কবির নীতি পেশায় চিকিৎসক। তাদের তারিশা কবির নামে তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।