ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেতুর অভাবে থমকে আছে ১১ গ্রামের মানুষের ভাগ্যের চাকা

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ২ জুলাই ২০১৮

  সেতুর অভাবে থমকে  আছে ১১ গ্রামের  মানুষের ভাগ্যের চাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১ জুলাই ॥ নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে উপজেলার শেষ প্রান্তে আন্ধারকোটা নামক স্থানে ছোট যমুনা নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে থমকে আছে এলাকার হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যের চাকা। বর্তমানে নদী পারাপারের ভরসা নৌকা। এই নৌকাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন ১০ গ্রামের অন্তত ৭ হাজার মানুষ। স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও এই এলাকার মানুষের ছোট যমুনা নদী পারাপারের জন্য আজও কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। জানা গেছে, ভৌগোলিক কারণে আত্রাই উপজেলার বিলবেষ্টিত কালিকাপুর ইউনিয়নের অবহেলিত জনপদের মধ্যে আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়ারীগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী রাণীনগর উপজেলার কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি ও বেতগাড়ি গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষের বসবাস হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন না হওয়ায় রাষ্ট্রের অনেক জরুরী সুযোগ-সুবিধা ও সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন গ্রামগুলোর মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই আধুনিকতার যুগে এসে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য আত্রাই উপজেলার আন্ধারকোটা ও রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম নামক স্থানে নদীর ওপর আজও কোন সেতু নির্মাণ হয়নি। একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কখনও নৌকা আবার কখনও বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় প্রায় ১১টি গ্রামের কৃষক-শ্রমিক, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ৭ হাজার মানুষ। বর্ষাকালে নৌকায় নদী পারাপার হলেও শুকনো মৌসুমে নাব্য সঙ্কটের কারণে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তৈরি বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায়। এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, উপজেলার কালিকাপুর ইাউনিয়নের আন্ধারকোটা নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি সেতু জনগুরুত্বপূর্ণ। এটি নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
×