ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হিরণ্ময় অতীত স্বপ্নময় ভবিষ্যত ৭০-এ আওয়ামী লীগ ॥ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২৪ জুন ২০১৮

হিরণ্ময় অতীত স্বপ্নময় ভবিষ্যত ৭০-এ আওয়ামী লীগ ॥ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা

দুটি ঘটনা এক সঙ্গে মেশালে রোমাঞ্চিত হতে হয়। ১৭৫৭ সালে তৎকালীন মুর্শিদাবাদ জেলার পলাশীর আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। বাংলার স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ইংরেজ বেনিয়াদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হয়েছিলেন একদল বিশ্বাসঘাতক বাঙালী সেনাপতি ও সভাসদের চক্রান্তে। আবার ২১৪ বছর পর ১৯৭১ সালে কুষ্টিয়া জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে (যা এখন মুজিবনগর) বাংলার সেই অস্তমিত সূর্য আবার উদিত হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালীর স্বাধীন জাতি রাষ্ট্রের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। পলাশী আর বৈদ্যনাথ তলা- দূরত্ব মাত্র ২৩ মাইল। দুটিই আম্রকানন। কাকতালীয় নয়, ইতিহাসের হিসেব-নিকেশ। বাঙালীর অপমানের প্রতিশোধ। রোজ গার্ডেন থেকে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। ৬৯ বছরের অনেক লড়াই, সংগ্রাম আর তুলনাহীন সাফল্যের ইতিহাস। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন থেকে বাংলা ভাষা সংগ্রাম থেকে শুরু করে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬+১১ দফা আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একটি উদার গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক দল গঠনের লক্ষ্যে শুরুতে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলের প্রিয় দল হিসেবে গণমানুষের রাজনৈতিক সংগঠনের রূপ দেয়া হয়। আজ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। এই প্রেক্ষিত নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। ইতিহাস যেমন আপন ক্ষমতায় প্রতিশোধ নেয় তেমনি প্রতিশোধ নেয়ার শক্তিকে সাজিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৬ বছর। আবার শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন ১৯৮১ সালে। তখন তার বয়স ছিল ৩৪ বছর। পিতা দেশী-বিদেশী সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং মিলিটারি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজয়ী বীর হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীন করে গেছেন আর কন্যা আইনী প্রক্রিয়ায় পিতৃহত্যার প্রতিশোধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, পাশাপাশি দেশকে উন্নয়নের সমৃদ্ধ মহাসড়কে তুলে এনে এগিয়ে চলেছেন ঈর্ষণীয় নেতৃত্ব দিয়ে। পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল তারই সেনাপতি মীর জাফর আলী খাঁ, রায়দুর্লভ, উমি চাঁদরা আর বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল দলেরই অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা খন্দকার মোশতাক, জেনারেল জিয়াউর রহমান, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, মাহবুব আলম চাষী এবং তাদের পাক-মার্কিন প্রভুরা। আজ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত ওদেরই শিখ-ী খালেদা জিয়া ও তার সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক পুত্র তারেক রহমান এবং অন্যরা। মা-বেটা মিলেই তো ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলার নেপথ্য চক্রান্তকারী। রয়েছে ঘরে-বাইরে অনেকেই। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলাসহ এ পর্যন্ত ২০ বার তাকে হত্যার চক্রান্ত হয়। কিন্তু মহান আল্লাহর কৃপায় তিনি বেঁচে আছেন, জাতির নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় মীর জাফরের প্রতিশব্দ যেমন বিশ্বাসঘাতক তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী মোশতাক-জিয়ার প্রতিশব্দও বিশ্বাসঘাতক। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন সবই করেছে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা- পিতা-পুত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং দেশব্যাপী সুসংগঠিত লাখ লাখ নেতাকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগে। দলটি এখন যে কেবল রাষ্ট্রক্ষমতায় তা নয়, এখনও বাংলাদেশ তো বটেই, এ উপমহাদেশেরও প্রাচীন বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় দল ছেড়ে চলে গেছেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, আতাউর রহমান খান, আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের মতো নেতারা এবং বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ড. কামাল হোসেন, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ। শেষোক্ত ২ জন ক’দিন সাতঘাটের পানি খেয়ে আবার ফিরে এসেছেন। অবশ্য বঙ্গবন্ধুর ‘লিডার’ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বা ‘বড় ভাই’ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া কখনও মুখ ফেরাননি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক সুসংগঠিত, শক্তিশালী (বঙ্গবন্ধুর সময় বাদ দিয়ে)। দলটি মহাসমুদ্রের গহীন তলদেশ জয় করে এখন মহাকাশ জয় করেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে আপন কক্ষপথে বিচরণ করছে। স্যাটেলাইট-২-এর নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ ৬৯ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমণ শেষে গতকাল শনিবার ২৩ জুন ’৭০-এ পা রাখল। এ উপলক্ষে ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নবনির্মিত ১০ তলা কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করলেন সময়ের সাহসী, মেধাবী, দূরদর্শী ও দক্ষ রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী এবং দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভা। গণভবনে অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় যোগ দেন দলের প্রেসিডিয়াম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টম-লী, জাতীয় কমিটি, জেলা-উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরাও। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেন আগামী নির্বাচনে করণীয়। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, ধরাধরি করে কোন লাভ হবে না, জনপ্রিয় নেতারাই নমিনেশন পাবেন। উপমহাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল যেটি পাকিস্তানী সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করে দেশ স্বাধীন করে তবেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে এবং আজও আছে। অবশ্য মাঝে একটি বড় সময় কালো ছায়া নেমে এসেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুরই কন্যার নেতৃত্বে তা কাটিয়ে উঠে আজ আলোর পথের অভিযাত্রী আর শেখ হাসিনা তো বিশ্ব নেতৃত্বের প্রতীক। বাংলাদেশ অগ্রগতির রোল মডেল। একটা সময় ছিল যখন এই বাংলা ছিল সুজলা-সুফলা শস্যশ্যামল সোনার বাংলা। বাংলার মসলিনের সুনাম ছিল বঙ্গোপসাগর-আরব সাগর ছাড়িয়ে আটলান্টিকের ওপারে পশ্চিমা বিশ্বে। যে কারণে ফরাসী পর্যটক বর্নিয়ে বলেছিলেন- Bengal has hundreds of gate open for entrance, but no one for departure. এতই আকর্ষণীয় ছিল আমাদের এই জনপদ। আর তাই তো পর্তুগীজ দস্যু, মগ, ব্রিটিশ বেনিয়া এবং ভিনদেশী ভিনভাষী তস্করদের লুণ্ঠনে এক সময় বাংলার মলিন চেহারা আজও মনে করিয়ে দেয়। তারপরও তস্করের দল বাংলার অপরূপ রূপ কেড়ে নিতে পারেনি। ক্ষণিক মালিন্য ক্ষণিকেই মুছে গেছে। তাই তো রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ কী প্রচ- আত্মপ্রত্যয় নিয়ে লিখলেন- ‘তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে দেখিব খয়েরি ডানা শালিখের সন্ধ্যায় হিম হয়ে আসে ধবল লোমের নিচে তাহার হলুদ ঠ্যাং ঘাসে অন্ধকারে নেচে চলে একবার দুইবার তারপর হঠাৎ তাহারে বনের হিজল গাছ ডাক দিয়ে নিয়ে যায় হৃদয়ের পাশে...’ বাংলার এই অপরূপ রূপ দেখেছিলেন কবি আর দেখেছিলেন বাংলার রাজনীতির মহাকবি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পর্তুগীজ, মগ দস্যু এবং পাকিস্তানী মিলিটারি দস্যুদের রুখে দিয়ে কী অসীম সাহসে উচ্চারণ করলেন- ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না।’ তখন বাংলার সমাজ ছিল ক্ষয়িষ্ণু সামন্ততান্ত্রিক। সামন্ততান্ত্রিকের চেয়ে ক্ষয়িষ্ণু সামন্ততান্ত্রিক অনেক বেশি বিপজ্জনক। বঙ্গবন্ধু একদিকে পাকিস্তানী মিলিটারির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, সেইসঙ্গে ক্ষয়িষ্ণু সামন্তবাদী সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়ে তুললেন যেখানে মানুষের মৌলিক-মানবাধিকার নিশ্চিত হলো, সাম্প্রদায়িক সমাজ ভেঙ্গে গেল, গরিব-দুঃখী মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত হলো। সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশবাদী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। এবার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পথে তাদের পরাভূত করা হলেও নির্মূল করা যায়নি। তারা গর্তে লুকিয়ে থাকল। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ৫ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি বঙ্গবন্ধুকে দুর্বল করে তুললেও তিনি মোটেই বিচলিত হননি। আবার ঘুরে দাঁড়ালেন। আর তখনই হানল চরম আঘাত। সপরিবারে তাঁকে ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করে পাক-মার্কিন চক্রের শিখ-ী বিশ্বাসঘাতক মোশতাক ও জিয়া এবং তাদের প্রভুরা ভাবল তাদের হারানো সিংহাসন বুঝি হাতে ফিরে এলো। কিন্তু না, শেখ হাসিনা শেখ, রেহানা তখনও বেঁচে আছেন। বাংলার সুলতানা রাজিয়া শেখ হাসিনা জাতির হাল ধরলেন এবং পিতার স্বপ্ন গরিব-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়ে কাজ শুরু করলেন। কিন্তু কতিপয় সামরিক জান্তা আর সাম্প্রদায়িক শক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে এবার জেনারেল গৃহিণী অশিক্ষিত এক নারীকে শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী দাঁড় করালেন। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন। তেমনি অশিক্ষিত নারীকে ডাকতে লাগলেন ‘ম্যাডাম’ ‘চেয়ারপারর্সন’ ইত্যাদি বিদেশী অভিধায়। এমনকি তার অশিক্ষিত এবং আগা-গোড়া দুর্নীতিপরায়ণ ছেলেকে ‘ভাইয়া’ নাম দিয়ে হাওয়া ভবন বানিয়ে দেয়া হলো। এসব অপকর্মে যোগ দিলেন সাংবাদিকদের একটি প্রভাবশালী অংশ। এমনকি সম্পাদক পদবীর বড় বড় সাংবাদিকও হাওয়া ভবনে যেতে শুরু করলেন ডিনার-লাঞ্চে। অন্যদিকে এক সাংবাদিক নেতা, যিনি মুক্তিযুদ্ধকালে দৈনিক অবজারভার পত্রিকায় জয়েন করে দিব্যি চাকরি করেছেন। তিনি রাজাকার গোলাম আযমের নাগরিকত্ব চেয়ে প্রেস স্টেটমেন্ট পর্যন্ত করলেন। আবার শেখ হাসিনার হাত থেকে চিঠি নিয়ে দেশব্যাপী পতাকা ওড়ালেন। গার্ড অব অনার নিতে শুরু করলেন। এমনি প্রতিকূলতার বেড়া ডিঙ্গিয়ে শেখ হাসিনাকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। পথে খড়কুটো থাকবে, রাস্তার পাশে নেড়ি কুত্তার দল ঘেউ ঘেউ করবে, তাতে তাকে বিচলিত করতে পারবে না। তিনি তার পথে এগিয়ে চলেছেন। কোন এক মনীষী বলেছিলেন : No matter what others say you go ahead with your own vision, you will see success will knock at the door. শেখ হাসিনা পেছনে তাকাননি। তাকাচ্ছেন না। এগিয়ে চলেছেন টানেলের শেষ প্রান্ত অতিক্রম করে আলোর মহাসড়কে। তার এ পথও যে একেবারে মসৃণ তা নয়। সামনে নির্বাচন এবং এ নিয়ে বিএনপি নেতারা এরই মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছেন। নির্বাচনের আগে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে, নইলে কঠোর আন্দোলন। একাধিক জ্যাক হাতে নিয়ে ঘোরা নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তো বলেই দিলেন ‘এবার আন্দোলন আর অহিংস হবে না।’ ব্যারিস্টার মওদুদের এ কথায় একটি ভয়াবহ ইঙ্গিত রয়েছে। ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫তে জাতি দেখেছে বিএনপির হিংস্র রূপ। পেট্রোলবোমা মেরে কিভাবে দেড় শতাধিক মানুষ হত্যা করেছে। দেশব্যাপী রাস্তাঘাট কেটেছে। তবে হ্যাঁ, শেখ হাসিনা Zero tolerance ডিকলার করে যেভাবে জঙ্গী, আগুন সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা বন্ধ করেছেন এবং এখনও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেব নিশ্চয়ই এবার বিএনপির জ্যাকটা অন্য কোথাও পাল্টে ফেলবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং তার নেতৃত্বেই জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ২০২১ অর্থাৎ ভিশন ২০২১ উদ্যাপিত হবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে ইস্যু করে তেমন লাভ হবে না। কারণ, তিনি আদালতের রায়ে দুর্নীতির মামলায় জেল খাটছেন। এবার আসুন দেখি আওয়ামী লীগ কেন এত শক্তিশালী *এই দল দেশ স্বাধীন করেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আর আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পথে। * দলটির মূল প্রতিষ্ঠাতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। * এখন নেত্রী সময়ের সবচেয়ে মেধাবী, সাহসী, বিশ্ব রাজনীতির অনন্য ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার বিশ্ব স্বীকৃত নেতৃত্ব দেশের জন্যে সম্মান বয়ে আনে। * দলটি সময়মত কাউন্সিল করে নেতৃত্ব নির্বাচন করে। * রয়েছে শেখ হাসিনার পুত্র ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা (অবৈতনিক) সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ঈজ (Centre for research and information) * দলটি সময়মতো ৩৫ কোটি বই বিনামূল্য দিতে পারে। * দলটি দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে। * মানবিক শেখ হাসিনা ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা দিতে পারে। * দল ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের মৌলিক সব চাহিদা পূরণ করে চলেছে। * শেখ হাসিনা ৯ বছর আগের ৫২০ ডলার থেকে মাথাপিছু আয় ১৭৫২ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছেন। * জিডিপি আজ ৭.৮% * শিক্ষার হার ৭১% * গড় আয়ু ৭২ বছর * সর্বোপরি সমুদ্র তলদেশ জয় করে এখন মহাকাশ জয় করলেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এখন মহাকাশে আপন কক্ষপথে ঘুরছে। * স্যাটেলাইট-২-এর কাজও শুরু হয়েছে। ক্স সাম্রাজ্যবাদী শক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ক্সআওয়ামী লীগ দেশের গরিব-দুঃখী মেহনতি মানুষ, ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী (কিছু বাদে)সহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের পছন্দের দল এ জন্য যে, এ দল যা বলে তা পালন করে। ক্স সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের প্রধান যিনি দেশে অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং বহির্বিশ্বে ঈর্ষণীয় রাষ্ট্রনেতা। ক্স শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে সাধারণ মানুষ নিরাপদ জীবনের স্বাদ পায়, মানুষ স্বপ্ন দেখতে জানে, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। ক্স সর্বোপরি দলটি বিজ্ঞানমনস্ক। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাইজ করেছে। ক্স বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথ আজ প্রশস্ত। আজ হতে শতবর্ষ পরে বাংলার যুবা কবি গাইবে “বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি/পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর...’’ ঢাকা ॥ ২৩ জুন ২০১৮ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×