ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর ॥ আহত ১০

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৩ জুন ২০১৮

কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর ॥ আহত ১০

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২ জুন ॥ চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিক্সা আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাইওয়ে পুলিশের ওপর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের শ্যালক মাছুম বিল্লাহর নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হাইওয়ের ৭ পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া সিরিঞ্জ ফ্যাক্টরি সংলগ্ন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের ব্যবহৃত একটি সরকারী পিকআপ গাড়ি ব্যাপক ভাংচুর করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা চলাচল বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলাকালে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টহল পুলিশ একটি ব্যাটারিচালিত রিক্সা আটক করে। রিক্সা চালক প্রতিবন্ধী হওয়ায় রিক্সাটি আটকের কিছুক্ষণ পর পুলিশ রিক্সাসহ চালককে ছেড়ে দেয়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলযোগে আসেন স্থানীয় ঘোলপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জাফর। মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনজুরুল হক জানান, চেয়ারম্যান কাজী জাফর ঘটনাস্থলে এসে আমাদের নিকট রিক্সাটি আটক করার কারণ জানতে চান এবং অশালীন ভাষায় গালমন্দ করে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা থেকে পুলিশকে বিরত থাকার জন্য বলেন। এ সময় চেয়ারম্যানের শ্যালক মাসুম তার লোকজন নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে এক সার্জেন্টসহ পুলিশের ৭ জন সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন- সার্জেন্ট আশিকুর রহমান, এএসআই দুলাল, কনস্টেবল আবুল খায়ের, মহসিন, মাহাবুব। এ বিষয়ে ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাফর জানান, প্রতিবন্ধী রিক্সাচালক বশির আহমেদের রিক্সাটি পুলিশ আটক করার পর এর চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় এবং রিক্সাটি ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। স্থানীয়দের অনুরোধে এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাকেসহ লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে সাবেকপাড়া গ্রামের আবুল খায়ের, নোয়াপাড়া গ্রামের দেলোয়ার ও রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সহিদ মিয়া আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
×