ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এবার ফিতরা ৭০ টাকা

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩১ মে ২০১৮

এবার ফিতরা ৭০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার জনপ্রতি সর্বনি¤œ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। গম বা আটার বাজারমূল্য হিসাব করে এবার সর্বনিম্ন ফিতরার এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া যে কেউ ইচ্ছে করলে এর বেশি ফিতরা আদায় করতে পারবেন। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এবার সর্বোচ্চ ফিতরাও নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩১০ টাকা। নির্ধারিত এই হারের মধ্যে যে কেউ তার ইচ্ছে অনুযায়ী ফিতরা আদায় করতে পারবেন। বুধবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার প্রতিষ্ঠানটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যাবে। আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬শ’ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য পাঁচশ’ টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩ শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে উপর্যুক্ত এই ফিতরার হার নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। তারা জানায়, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। তদানুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। সভায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দিন আহমদ, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রধান মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আহছানিয়া সুফিজম ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মাদ উছমান গণী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফাসসির মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম ছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন শাখার পরিচালক ও উপ-পরিচালকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। ইসলামী বিধান অনুসারে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে মুসলমানদের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। এটি এক ধরনের সাদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতে রোজার ভুলত্রুটি দূর করার জন্য আদায় করা হয় ফিতরা। ইতোমধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফিতরার পরিমাণও নির্ধারণ করা হয়েছে। ফিতরা আদায়যোগ্য যে কেউ এবার সর্বনিম্ন ৫৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শ’ টাকা পর্যন্ত ফিতরা আদায় করতে পারবে। নিয়ম অনুযায়ী ঈদের নামাজের পূর্বেই ফিতরা আদায় করতে হয়। তবে ভুলক্রমে ঈদের নামাজ পড়া হয়ে গেলেও ফিতরা আদায় করা যায়।
×