স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছা থানার সমন জারির দায়িত্বে নিয়োজিত কনস্টেবল মনির হোসেন ও ড্রাইভার কাম কনস্টেবল জাকির হোসেনের নিজস্ব দামী প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল দেখে খোদ থানা পুলিশের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে সমন জারির দাযিত্বে থাকা মনির হোসেন দুই একজন দারোগার সহযোগিতার নামে প্রায়শই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী কিংবা তাস খেলায় মত্তদের ধরতে নিজেই চলে যান। আর এসব জায়গায় তিনি প্রভাব খাটিয়ে হাতিয়ে নেন হাজার হাজার টাকা। দীর্ঘদিন ঝিকরগাছা থানায় থাকার সুবাদে উপজেলা অলিগলিতে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও গড়ে উঠেছে তার সখ্য। এসব করে বর্তমানে কনস্টেবল মনির হোসেন একটি দামী প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-৮০৩৬) কিনেছেন। একই সঙ্গে তিনি কিনেছেন একটি দামী হিরো হোন্ডা নিউ মডেলের মোটরসাইকেল, যা নাম্বার প্লেটহীন অবস্থায় চালালেও পুলিশ তাই কেউ কিছু বলে না। তেমনি মনিরের সঙ্গে অত্যন্ত সখ্য রেখে চলা থানার ড্রাইভার কাম জাকির আরও বেপরোয়া। প্রায়ই তাকে দেখা যায় নিজের ক্রয়কৃত প্রায় তিন লাখ টাকা দামের ফিজার মোটরসাইকেল নিয়ে সাদা পোশাকে বিভিন্ন স্পটে প্রভাব খাটিয়ে মানুষকে হয়রানি করতে। কনস্টেবল জাকির অনেকটাই দারোগাদের চেয়ে বেশি মাত্রাই রাতে রাস্তাঘাটে প্রভাব খাটিয়ে থাকেন। এদের দুজনের আয়ের উৎস মাদক বিক্রেতারা বলে অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও দুজনেই চালাতেন দুটি চোরাই মোটরসাইকেল। বিষয়টি জানাজানির পরই তারা একই কালারের দুটি মোটরসাইকেল ক্রয় করেছেন। এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে কনস্টেবল মনির ও জাকির হোসেন অস্বীকার করে বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা।