স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় এক ইমামের মাথায় মল ঢেলে লাঞ্ছিত করার কয়েক দিন পর এবার গভীর নলকূপে মল ঢেলে শত্রুতা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের নন্দনপট্টি গ্রামে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনার পর শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষ হাসমত আলী মুন্সীর পুত্ররা দোষ স্বীকার করে নতুন নলকূপ স্থাপন করে দেয়ার মৌখিক মুচলেকা দিয়েছে। সালিশ বৈঠক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নন্দনপট্টি গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন সরদারের পুত্র জয়নাল আবেদীন সরদারের সঙ্গে প্রতিবেশী হাসমত আলী মুন্সীর পুত্র কামাল মুন্সী, জামাল মুন্সী ও রুবেল মুন্সীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
জয়নাল আবেদীন সরদার অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাতে কামাল মুন্সী, জামাল মুন্সী ও রুবেল মুন্সী তার বাড়ির ব্যবহৃত গভীর নলকূপের মধ্যে ওপর দিয়ে পায়খানা ঢেলে দেয়। প্রথম রমজানের সেহরি খাওয়ার জন্য তার কন্যা আইরিন সুলতানা পানি আনতে গেলে নলকূপের ওপরে ও মধ্যে পায়খানা দেখতে পায়। পরবর্তীতে প্রতিবেশীদের ডেকে বিষয়টি দেখানো হয়। এর আগেও একাধিকবার প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া একই গ্রামের শাহ আলম ঘরামীর পুত্র হাসান ঘরামীকে দিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তার ঘরের বিছানায় মল ছিটিয়ে দেয়। হাসানকে একবার হাতেনাতে ধরার পর সে কামাল মুন্সী গংদের হয়ে মল ছিটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। সেই সূত্র ধরে ঘটনার পরের দিন শুক্রবার সকালে হাসানকে জিজ্ঞাসা করলে সে নলকূপে মল দেয়ার বিষয়ে কামাল মুন্সীদের নাম বলে। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় জয়নালের বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য গিয়াস উদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস ছালাম সেরনিয়াবাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ সরদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কামাল মুন্সী ও তার ভাইয়েরা কাজটি ভাল করেনি। তারা দোষ স্বীকার করে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন নলকূপ স্থাপন করে দেবে বলে স্বীকার করেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: