ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচী বন্ধ করলে বিনিয়োগ ॥ পম্পেও

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৯ মে ২০১৮

 উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচী বন্ধ করলে বিনিয়োগ ॥ পম্পেও

উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করলে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী খাতগুলোকে ওই দেশে বিনিয়োগ করতে অনুমতি দেবেন। পাশাপাশি উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যে কোন ধরনের চুক্তির পরও কিম ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সম্প্রতি এ কথা বলেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে কিম ও ট্রাম্পের মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকটি হওয়ার পর কোন একটি চুক্তিতে পৌঁছানো হলে কি হতে পারে সে বিষয়ে ফক্স নিউজকে মাইক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারী বিনিয়োগ খাতগুলো উত্তর কোরিয়ায় বিদ্যুত উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে। কারণ সেখানে বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, দেশটির কাঠামোগত উন্নয়নে ও জনগণের খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষিখাতেও মার্কিন নাগরিকরা সহায়তার হাত বাড়াতে পারেন। এদিকে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও কূটনীতিক জন বোল্টন সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে হবে, আমি এমনটা মনে করি না।’ দক্ষিণ ক্যারোলিনার সিনেটর লিন্ডিসে গ্রাহাম বলেন, আমরা আসলে এর আগে যত অর্থ ব্যয় করেছি, তার চেয়ে ভালো হবে যদি বেসরকারী বিনিয়োগ বা নিষেধাজ্ঞা ত্রাণ দেয়া হয়। সিনেট আর্মড সার্ভিস কমিটির সদস্য গ্রাহাম সিবিএস’কে আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে উন্নত করতে কংগ্রেসের অনেক সহযোগিতা দরকার হবে। আর এসব কিছুই করা হবে, উত্তর কোরিয়া যদি তাদের পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করে তবে তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে সে দেশের নাগরিকরা প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের চেয়ে গড়ে তিন ইঞ্চি খাটো।’ মাইক দ্বিতীয় দফায় গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার গিয়ে দুই নেতার বৈঠক ও তিন মার্কিন নাগরিকের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পেন্টাগন জানিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তিকে রবিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মাইক ফক্স নিউজকে বলেন, ‘নিশ্চিত হতে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে হবে।’ তবে তিনি বিস্তারিত বলেননি, কেবল জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের নিরাপত্তা আগে নিশ্চিত করার দাবি করেছেন। এর আগে ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে জানায়, কোরীয় উপদ্বীপে তাদের কোন পরমাণু অস্ত্র নেই ও উত্তর কোরিয়াকে আক্রমণেরও কোন ইচ্ছে তাদের নেই। এদিকে, উত্তর কোরিয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতেই তাদের পরমাণু অস্ত্র দরকার আছে।
×