কলাপাড়ায় ফ্রী স্টাইলে নদীতীর দখল করে স্থাপনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী, ১৫ মে ॥ কলাপাড়ায় ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মেহেপুর গ্রামে নদীতীরসহ খাস জমি দখল চলছে ফ্রী স্টাইলে। খাস জমি দখল করে তোলা হচ্ছে বসতভিটা। রক্ষা পাচ্ছে না নদী, পাউবোসহ ও বন্দোবস্ত দেয়া জমি। প্রশাসন খাস জমি দখলমুক্ত করতে মাইকিং করেছে। কিন্তু দখলবাজচক্র কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। নদী দখলমুক্ত ও বন্দোবস্তু দেয়া জমি রক্ষায় প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন মেহেরপুর গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ শফি হাওলাদার। জানা গেছে, ডালবুগঞ্জ মৌজার ২৯নং এল এর ২৬১ নং দাগ থেকে শফি হাওলাদারের বাবা সেকান্দার আলী হাওলাদারের নামে বন্দোবস্ত পাওয়া জমিসহ নদী ও পাউবোর জমি দখল করে বসতভিটার জন্য দখল কাজ চালাচ্ছে মহীউদ্দিন ও তার ভাই হিরু হাওলাদার। স্থানীয়রা বাধা দিলে দখলকাজ বন্ধ হয়। কিন্তু অভিযোগকারী শফি হাওলাদার তার জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না এই দখলবাজচক্রের কারণে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মহিপুর ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝখান থেকে বয়ে যাওয়া কাটাভারানি শাখা নদীর ডালবুগঞ্জের মেহেরপুর গ্রাম সংলগ্ন নদীর চর দখল করা হচ্ছে। দখলবাজদের তা-বে ওই নদীর পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, যেখানে ঘর তোলার জন্য খাল দখল করছে তার কাছাকাছি হিরু হাওলাদার ও মহিউদ্দিনদের কোন জমি নেই। নদীর তীরসহ খাসজমি দখলের তা-ব শুরু করেছে এ চক্র। ইউপি সদস্য মোঃ বাবুল গাজী জানান, হিরু হাওলাদার ও মহিউদ্দিন হাওলাদার তাদের বাপদাদার জমি দাবী করে নদীর চর দখল করা ঠিক হয়নি। অভিযুক্ত হিরু হাওলাদারের ভাই মহিউদ্দিন বলেন, আমার বাবার জমি হিসেবে আমার ভাই হিরু হাওলাদার ঘর তোলার জন্য মাটির কাজ করছে। তাছাড়া এই জমি সরকারী হোক আর যারই হোক কারও কাছে অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নাই বলেও দাবি মহিউদ্দিনের। অভিযুক্ত হিরু হাওলাদার বলেন, আমাগো থাহার কোন জায়গা নাই। আমরা কেউর জমি দহল করি নাই, সরকারী জমিতে ঘর উডাইতেছি। এই জমি আমাগো বাপদাদার। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তানভীর রহমান জানান, সরকারী জমি দখল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।